মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) ২০২৪ সালের আগস্টে লাশিও শহর থেকে দেশটির সেনাবাহিনীকে উৎখাত করে। তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এবং চীনের সাথে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ দখল করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে এটি ছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় কৌশলগত ক্ষতি। যা অভ্যুত্থান-বিরোধী যোদ্ধা এবং দীর্ঘকাল ধরে সক্রিয় জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত করে।
তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন সাংবাদিকদের বলেন, এমএনডিএএ একটিও গুলি না চালিয়ে শহরটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, উভয় পক্ষের যৌথ আমন্ত্রণে চীন সম্প্রতি মিয়ানমারের লাশিওতে একটি যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ দল পাঠিয়েছে, যাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং এমএনডিএএ-র মধ্যে যুদ্ধবিরতি তদারকি করা হয়। লাশিওর নগর এলাকার সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হস্তান্তর প্রত্যক্ষ করা যায়।
চীন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একটি প্রধান মিত্র এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। তবে তারা জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সাথেও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, চীনা ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) দূরে অবস্থিত লাশিওর পতন বেইজিংয়ের চিন্তার কারণ হয়েছিলো।
তবে এই হস্তান্তরের বিষয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাথে মন্তব্যের জন্য এএফপি যোগাযোগ করতে পারেনি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সামরিক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, কিছু সামরিক কর্মকর্তাকে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে লাশিওতে স্থানান্তর করা হয়েছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই লাশিওতে যাচ্ছেন।
এই সপ্তাহে লাশিওর একজন বাসিন্দা এএফপিকে জানিয়েছেন, একটি হোটেলের বাইরে বিদ্রোহীদের একটি চেকপয়েন্ট থেকে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে, কারণ তাদের জানানো হয়েছিল যে এই দলের সদস্যরা মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে ভিতরে দেখা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল