সিলেট টেস্টের প্রথম দিন ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই পুরোপুরি ব্যর্থ টাইগাররা। প্রথম দিনটি ছিল জিম্বাবুয়ের। গতকাল দ্বিতীয় দিন আবার বিপরীত গল্প লিখল নাজমুল বাহিনী। লিখল ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। ঘুরে দাঁড়িয়ে টেস্টে ফিরেছে। কিন্তু দিন শেষে এগিয়ে রয়েছে ক্রেইগ আরভিনের সফরকারী দল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২৭৩। সফরকারীদের তিন শর আগে অলআউটের নায়ক অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও স্পিডস্টার নাহিদ রানা। মিরাজ ৫ উইকেট ও রানা নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৮২ রানে পিছিয়ে খেলতে নেমে ওপেনার সাদমান ইসলামের উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। আজ তৃতীয় দিন ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করবে নাজমুল বাহিনী। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ২৮ এপ্রিল-২ মে। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল উইকেটে এর আগে তিন টেস্টের সবই ফল হয়েছে। মজার বিষয় তিন টেস্টে প্রথমে যে দল ব্যাটিং করেছে, সেই দলই টেস্ট জিতেছে। সিলেট ভেন্যুর এবার চার নম্বর টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ব্যাটিংয়ে ১৯১ রান করে। জিম্বাবুয়ে করেছে ২৭৩। তাহলে? প্রথম দিন স্বাগতিকদের অলআউট করে বিনা উইকেটে দিন পার করেছিল আরভিন বাহিনী। গতকাল দিনের তৃতীয় ওভারে প্রথম আঘাত হানে টাইগাররা। নাহিদ রানার গতিতে পরাস্ত হন বেন কুরান। কুরানের বাবা কেভিন কুরান এক সময় জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন এবং দুই ভাই স্যাম ও টিম কুরান খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। কুরানের বিদায়ের পরের দুই উইকেটের পতন হয় মাত্র ৪ বলের মধ্যে। ৮৮ রানে ৩ উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা। পরবর্তীতে ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও শিন উইলিয়ামসের দৃঢ়তায় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। বেনেট ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ৬৪ বলে ১০ চারে এবং উইলিয়ামস ৫৯ রান করেন ১০৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ দিকে নিয়াশো মায়াভো ৩৫ ও রিচার্ড এনগাভা ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে জিম্বাবুয়ের ইনিংস বাংলাদেশকে টপকে যায়। দলটির স্কোর আরও বড় হতো যদি না অফ স্পিনার মিরাজ আঘাত হানতেন। ঘূর্ণির মায়াজালে ৫ উইকেট নেন মিরাজ।
যা তার ৫২ টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১ বারের মতো ফাইভার। তার বোলিং স্পেল ২০.২-৫-৫২-৫। টেস্ট ক্যারিয়ারে উইকেট সংখ্যা এখন ১৯৫। আর ৫ উইকেট পেলেই বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় বোলার হিসেবে ২০০ উইকেট শিকারি ক্লাবে নাম লেখাবেন। ৭১ টেস্টে সাকিব আল হাসানের উইকেট ২৪৬ এবং তাইজুল ইসলামের উইকেট ৫২ টেস্টে ২১৭টি। সিলেট টেস্ট খেলছেন তাইজুল। যদিও উইকেট পাননি।