গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের পরিচয়পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয় বলে ইসির সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশনায় মাস দুয়েক আগে তাদের এনআইডি ‘লক’ করা হয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের এনআইডি স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন- ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন রেহানা সিদ্দিক, ভাগনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, ভাগনে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকও আছেন এ তালিকায়, যিনি রেহানার দেবর। তারিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং তাদের মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের এনআইডিও স্থগিত করা হয়েছে।
এনআইডি লক হলে কী হয়? উত্তরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এনআইডি লক হলে কার্ডটি আর ব্যবহার করা যায় না। এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হলে বা এনআইডি নিয়ে তদন্ত কাজ চললে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনআইডি লক করা হয়।
এনআইডি লক থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভোট দিতে বা প্রার্থী হতে বাধা নেই জানিয়ে আশরাফ বলেন, এনআইডি লক করা হলে ভোটারের তথ্য যেমন যাচাই করা সম্ভব নয়, তেমনই কোনোভাবেই এনআইডির তথ্য এডিট করাও সম্ভব হবে না। গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগের নামে ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।