কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার বহু প্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলো।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া কার্নি জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন। এই পরিবর্তন এমন এক সময়ে হয় যখন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
রবিবার অটোয়ায় গভর্নর জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর লিবারেল পার্টির নেতা কার্নি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের জীবদ্দশার সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি, যার কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্পের অন্যায় বাণিজ্যনীতি ও আমাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে তার হুমকি।”
তিনি বলেন, “আমি কানাডাবাসীর কাছে শক্তিশালী ও ইতিবাচক ম্যান্ডেট চাইছি, যেন আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মোকাবেলা করতে পারি এবং এমন একটি নতুন কানাডীয় অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি যা সবার জন্য কাজ করবে। আমি জানি, আমাদের বড় পরিবর্তন দরকার—ইতিবাচক পরিবর্তন।”
নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন ২০ অক্টোবরের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্নি লিবারেল পার্টির সাম্প্রতিক জনপ্রিয়তার সুযোগ কাজে লাগাতে আগাম নির্বাচন ডেকেছেন।
২০১৫ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল পার্টির সমর্থন ট্রুডোর জানুয়ারির পদত্যাগ ঘোষণার পর থেকেই বেড়ে চলেছে। ট্রাম্পের একের পর এক হুমকির মধ্যেও দলটির জনপ্রিয়তা এখন ঊর্ধ্বমুখী। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ