ইউক্রেনের নিরাপত্তায় কানাডা সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এমনকি ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
ইউক্রেনের নিরাপত্তায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ ঘোষণার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্য এল। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, যেকোনো কিছুই সম্ভব।
ইউক্রেন সংঘাতের শুরু থেকেই কানাডা দেশটির পাশে রয়েছে জানিয়ে ট্রুডো বলেন, কানাডা কীভাবে ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করতে পারে তা বিবেচনা করেছে। যেমনটি আমি কয়েকদিন আগে বলেছিলাম, সবকিছুই আলোচনার টেবিলে আছে।
কিয়েভকে সহায়তায় কানাডার ভূমিকার কথা তুলে ধরে ট্রুডো বলেন, ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগে ৪৪ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে অটোয়া।
ট্রুডো বলেন, ‘বহুমুখী’ সহায়তার আওতায় কিয়েভকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে অটোয়া। জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং জাপানের পর ইউক্রেনে পঞ্চম বৃহত্তম সহায়তাকরী দেশ কানাডা।
বিডি-প্রতিদিন/শআ