বাজারে এখন হেলথ ড্রিংকের ছড়াছড়ি। কেউ পান করছেন গাজরের রস, কেউ বা পেয়ারা জুস। তবে এই প্রতিযোগিতার ভিড়ে নীরবে নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিট। চোখধাঁধানো গাঢ় রঙ, মাটির গন্ধ মেশানো স্বাদ আর পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজির রস এখন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের কাছেও বিশেষভাবে প্রশংসিত। প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন, জেনে নিই বিটের অসাধারণ উপকারিতা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
বিটের রসে থাকা নাইট্রেট নামক প্রাকৃতিক যৌগ শরীরে গিয়ে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। এটি রক্তনালিকে প্রসারিত করে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়ায় সহায়ক
বিটে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, তাদের জন্য বিটের রস এক অসাধারণ প্রাকৃতিক সমাধান। নিয়মিত খেলে ক্লান্তি কমে। ত্বকে ফিরে আসে উজ্জ্বলতা।
কিডনি ও লিভার ডিটক্স
বিটের রসে থাকা বিটালেইন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কিডনি ও লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, ফলে দেহ থাকে পরিষ্কার ও সতেজ।
ব্যায়ামে শক্তি জোগায়
ব্যায়ামের সময় দেহে শক্তি ধরে রাখতে বিটের রস দারুণ কার্যকর। এতে উৎপন্ন নাইট্রিক অক্সাইড পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়, ফলে দীর্ঘসময় ব্যায়াম করলেও সহজে ক্লান্তি আসে না। এটি প্রাকৃতিক ‘এনার্জি ড্রিংক’ হিসেবেও কাজ করে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যায়, যা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিটের রস মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে, যা মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে। তাই এটি তরুণদের জন্যও উপকারী।
বিটের রস শুধু রঙেই নয়, উপকারিতাতেও সমৃদ্ধ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই রস রাখলে মিলতে পারে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকার। চাইলে এটি আপনার প্রাকৃতিক সুপারড্রিংক হিসেবেও রাখতে পারেন!
সূত্র : আজকাল
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ