পুুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশের যারা একসময় কোনো কারণে বিচ্যুত হয়েছেন, তাদের পুনরায় বিধিবিধান অনুযায়ী প্রশিক্ষণে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে যাদের আদৌ পরিশুদ্ধ করা সম্ভব নয়, এরকম বিতর্কিতদের ইলেকশন ডিউটিতে নেতৃত্বে না রাখতে খেয়াল রাখা হবে। তিনি বলেন, বিতর্কিতদের এখনো তালিকা করা হয়নি। তবে জেলার এসপি ও রেঞ্জের ডিআইজি, উনাদের বিবেচনায় যাকে মনে করছেন নির্বাচনের সময় তিনি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন না, তাদের চিহ্নিত করছেন। আমরা যখন আগামী জানুয়ারিতে ডিপ্লয়মেন্ট (মোতায়েন) করব তখন এ সংখ্যাগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
গতকাল তিনি খুলনা বয়রায় মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতিবিনিময়ে এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, আরআরএফ ও কেএমপিতে চলমান পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী বা অপশক্তি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশের সব ইউনিট তৎপর রয়েছে। বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। ফলে এবারের নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। গুরুত্বপূর্ণ সে ম্যাসেজটা দিতে এসেছি, যাতে আমাদের দায়িত্বটা যেন সবচেয়ে ভালোভাবে পালন করতে পারি।
গত তিনটা নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরাও সেই বিতর্ক-সমালোচনার অংশীদার হয়েছি। কারণ আমরাও ওই তিনটা ইলেকশনে পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) করেছি। আমাদের সেই অভিজ্ঞতাটা শুধরানোর জন্য, আমরা যে ভুলগুলো করেছি বা করতে বাধ্য হয়েছি সেগুলো যেন না করি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা শতভাগ সফল এটা বলছি না। তবে আগে পুলিশ যে জায়গায় ছিল- একটা কিছু হলে একজনকে ধরে নিয়ে আটকে রাখত। কোর্টকে জানানোর প্রয়োজন ছিল না। অথবা ক্রসফায়ারের নামে তাকে খুন করে ফেললাম। এ অন্যায়-অত্যাচার হয়েছে সরকারের টিকে থাকার জন্য। যাদের আইনি ভিত্তি নেই। যাদের নৈতিকতার শক্তি নেই। তবে এখন আমরা নৈতিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী।
এসময় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক ও কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার উপস্থিত ছিলেন।