আড়াই বছর আগে প্রীতি ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে ৪-২ গোলের পরাজয় গিলতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। তবে কার্লো আনচেলত্তির অধীনে লন্ডনে শনিবার (১৫ নভেম্বর) সেই হার–এর প্রতিশোধ নিল সেলেসাওরা। এস্তেভাও উইলিয়ান ও ক্যাসেমিরোর গোলের সুবাদে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
সেনেগালের বিপক্ষে তিন ম্যাচে এটি ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রথম জয়। এর আগে ২০১৯ সালে দুদল ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছিল, আর ২০২২ সালে ব্রাজিল হেরেছিল ৪-২ গোলে।
জাপানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২-০ লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হারে ব্রাজিল। তাই এদিন প্রথমার্ধে জোড়া গোল পেলেও শঙ্কা থেকেই গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সাদিও মানেরা একাধিক সুযোগ পান। তবু আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে দেয়নি ব্রাজিলের রক্ষণভাগ।
প্রথম থেকেই দাপট দেখায় ব্রাজিল। ভিনিসিউস, রদ্রিগো ও কুনিয়ার একের পর এক আক্রমণেও গোল পাচ্ছিল না সেলেসাওরা। ছয় গজ দূর থেকে কুনিয়ার একটি হেড বারে লেগে ফিরে আসে। অবশেষে ২৮তম মিনিটে ভাঙে গোলশূন্যতা। ক্যাসেমিরোর পাস ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে এস্তেভাওয়ের সামনে পড়ে। তরুণ উইঙ্গারের জোরালো শটে কোনো সুযোগ ছিল না এদুয়ার্দ মেন্ডির।
৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্যাসেমিরো। রদ্রিগোর ফ্রি-কিক থেকে ছয় গজ দূরে বল পেয়ে নিখুঁত কোনাকুনির শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
প্রথমার্ধের শেষদিকে গোল শোধের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল সেনেগাল। যোগ করা সময়ে এদেরসনের দুর্দান্ত সেভে অক্ষত থাকে ব্রাজিলের জাল।
বিরতির পর ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা করে সেনেগাল। ৫০তম মিনিটে এদেরসনের ভুলে প্রায় গোল হজম করতে বসেছিল ব্রাজিল। ইলিম্যান এনদিয়ায়ের শট পোস্টে লাগে। পাঁচ মিনিট পর একই ভুল করেন মেন্ডি, তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রদ্রিগো। এরপর আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেন দুই দলের খেলোয়াড়রা।
৭০তম মিনিটে লিড বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করে ব্রাজিল। ভিনির পাস থেকে এস্তেভাওয়ের সামনে বল পৌঁছানোর আগেই ক্লিয়ার করেন জ্যাকবস। শেষদিকে পাকেতা, লুইজ হেনরিক ও বুনোকে নামালোও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ব্রাজিল।
শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই ম্যাচকে গুরুত্ব দিচ্ছে ব্রাজিল কোচিং স্টাফ। আগামী ১৮ নভেম্বর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।
বিডি প্রতিদিন/মুসা