তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গাজার উদ্দেশে যাওয়া সহায়তা নৌবহর (সুমুদ ফ্লোটিলা) আটককে দস্যুতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। একে পার্টির এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ অভিযান প্রমাণ করে যে গাজায় গণহত্যার দায় লুকাতে ইসরায়েলের দমনযন্ত্র পাগল হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন এরদোগান। সমাবেশে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘গণহত্যাকারী নেতানিয়াহুর সরকার শান্তির সামান্য সুযোগও সহ্য করতে পারে না। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্বকে গাজার নৃশংসতা ও ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের মুখোশ দেখিয়ে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন ভাইবোনদের কখনো একা ছেড়ে দেব না। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।’ এদিকে, গাজাগামী নৌবহর (গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা) আটকে দেওয়ার ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাকসিম প্রেভো। প্রেভো সংসদে বলেন, ‘যেভাবে জাহাজগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় যেভাবে আটকানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এ কারণেই আমি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছি।’
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৩৯টি নৌকা আটক করেছে। এসব নৌকায় বিদেশি কর্মী ও সহায়তা সামগ্রী ছিল, যাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থানবার্গও রয়েছেন। সবশেষ আপডেটে সংগঠকরা জানিয়েছেন, এখন কেবল একটি নৌকা ফিলিস্তিন উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আটক কর্মীদের বহনকারী নৌযানগুলো ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনাদের মাঝে জাহাজের ডেকে বসে আছেন গ্রেটা থানবার্গ-যিনি এই অভিযানে সবচেয়ে পরিচিত মুখ হিসেবে অংশ নিয়েছেন।