ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়কে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করছে চীন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ঐক্য, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জন করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করেন জনৈক সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি আদালত গতকাল (গত সোমবার) অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর শাসনামলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার জন্য মৃত্যুদ দিয়েছেন। তিনি অবশ্য বলেছেন যে, এটি একটি অনির্বাচিত সরকার পরিচালিত সাজানো বিচার। আরও বলেছেন যে, তিনি হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। এ ব্যাপারে চীনের প্রতিক্রিয়া কী?’
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চীন বাংলাদেশের জনগণের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, বাংলাদেশ ঐক্য, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জন করবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদ এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন।