পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিসগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি অপসারণের ঘটনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল ফেসবুক পোস্টে চিঠির ছবি প্রকাশ করেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
২৮ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক অফিস থেকে তার ছবি অপসারণের ঘটনা উল্লেখ করে কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘রাষ্ট্রপতির আসনে আসীন এবং দায়িত্ব পালনরত দেশের রাষ্ট্রপতি যেন অপদস্ত না হন, সেজন্য কি কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া যেত না?’
রাষ্ট্রপতি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ছবিটি অপসারণের ক্ষেত্রে কৌশলী নীতি অবলম্বন করলে গণমাধ্যমের খোরাক হওয়া এড়ানো যেত এবং এতে আমার পূর্ণ মানসিক সহযোগিতা থাকত। কিন্তু এক রাতের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ছবিটি অপসারিত হওয়ায় তা শুধু গণমাধ্যমের উপজীব্য হয়নি, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বব?্যাপী আমার সম্মান চুল্লিস্থিত হলো। এতে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা একজন সচেতন নাগরিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অপমানিত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমার কোনো অনুযোগ নেই, শুধু আর্তনাদ আছে।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি এবং সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। স্বাধীনতার পর থেকে যা ঘটেনি, তাই করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় প্রায় অর্ধশতাধিক অর্ডিন্যান্স জারি করে সরকারকে আইনগত পূর্ণ সহযোগিতা করেছি, যার ফলে সরকার আইনগতভাবে সবল অবস্থানে রয়েছে।
চিঠিতে রাষ্ট্রপতি তাঁর ছবি অপসারণে ‘দৃষ্টিকটু উদ্যোগ’ নেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন। তিনি জানান, ৫ থেকে ৮ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দেশের সংকটকালে তাঁর কার্যক্রমও গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে সরকারের সব কার্যক্রমে তাঁর অবস্থান স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক ছিল। সরকার যে ‘জিরো পোর্ট্রেট নীতি’ অনুসরণ করছে, তাতে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, আমি তো আবদার করিনি যে, আমার ছবিকে দায়মুক্তি দেওয়া হোক।