শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। গত আট বছরে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে দিগুণ হয়েছে। দেশে বর্তমানে প্রতি তিনজন বেকারের একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী। দীর্ঘদিন বেকার থাকা তরুণদের মধ্যে স্নাতকদের হার বেশি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে যারা কাজ পাচ্ছেন না, তাদের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারীরাই সংখ্যায় শীর্ষে। সবচেয়ে বেশি বেকার ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে বেকার আছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার। সম্প্রতি বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এতে বলা হয়, দেশে এক বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার।
শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে দেশে, বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পাচ্ছে না মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের চিত্র ভয়াবহ। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সি যুব বেকারদের মধ্যে প্রায় ২৯ শতাংশ স্নাতক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে এক বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২০ হাজারে, যা ২০২৩ সালে ছিল ২৪ লাখ ৬০ হাজার। অন্য যে কোনো বিভাগের তুলনায় চাকরির খোঁজে ঢাকাতেই বাস করেন বেশির ভাগ বেকার। বেশির ভাগই আবার উচ্চশিক্ষিত।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শ্রমবাজারে নিরক্ষর শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখে। এ নিরক্ষর কর্মশক্তি দেশের অর্থনীতির উৎপাদনশীলতায় তৈরি করছে বড় সীমাবদ্ধতা। বিশেষ করে শিল্প ও সেবা খাতে দক্ষতা ঘাটতির কারণে অনেকে কাজ পেলেও উচিত মূল্য পাচ্ছেন না। কর্মসংস্থানের কাঠামোতেও বড় বৈষম্য ধরা পড়েছে। দেশে কাজে নিয়োজিতদের ৮৪ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে। গ্রামে এ হার ৮৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ, শহরে ৭৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বিপুল শ্রমশক্তি এখনো সুরক্ষাহীন, সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত।