বাংলাদেশের জ্বালানি সম্পদ বলতে সবেধন নীলমণি একমাত্র গ্যাস। অঙ্কের হিসাবে দেশে বিপুল পরিমাণ কয়লা মজুত থাকলেও তার উত্তোলন সার্বিক বিবেচনায় লাভজনক নয়। ফলে জ্বালানি চাহিদা পূরণে এখন পর্যন্ত গ্যাসই ভরসা। অথচ স্থলভাগে গ্যাসের মজুত প্রায় শেষ হওয়ার পথে। সমুদ্রভাগে গ্যাস আহরণ দূরের কথা, অনুসন্ধানের কাজই যথাযথভাবে শুরু করা যায়নি। ফলে সাগর প্রান্ত থেকে ভবিষ্যতে গ্যাস পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে দেশে গ্যাসসংকট শুরু হয়েছে ভয়াবহভাবে। চাহিদা পূরণে উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে কিনতে হচ্ছে এলএনজি। যা জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দামে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গ্যাস কেনার স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এ মুহূর্তে দেশের ২৯টি গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে উৎপাদনে আছে ২০টি। ভোলার ইলিশা ও ভোলা নর্থ; সিলেটের জকিগঞ্জ এবং কুতুবদিয়া থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে না। কারণ পাইপলাইন ও অবকাঠামো তৈরি হয়নি। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সিলেটের ছাতক, গাজীপুরের কামতা, ফেনী ও চট্টগ্রামের সাঙ্গু- এই পাঁচ খনিতে ৬৬১ বিসিএফ গ্যাস থাকা অবস্থায় উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এগুলো বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয়। দেশের গ্যাস খাতে সরবরাহ ও মজুত বাড়াতে স্থলভাগের চার গ্যাস ক্ষেত্রে বা গভীর কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি কূপে ১৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্তর্বর্তী সরকার ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের প্রকল্প নিয়েছে। এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩১টি পুরোনো কূপ সংস্কারে জোর দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬৯টি অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কূপ। ২০২২ সালে তৎকালীন সরকার ৫০টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেয়। এসবে কাজ চলমান। আশা করা হচ্ছে, দুই-তিন বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। গ্যাস ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। সার তৈরিতেও এর ব্যবহার রয়েছে। কলকারখানায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় বিপুল পরিমাণ গ্যাস। গৃহস্থালি অর্থাৎ রান্নার কাজেও এ জ্বালানির ব্যবহার ব্যাপক। সংকট এড়াতে সাগর প্রান্তে গ্যাস অনুসন্ধানে সরকারকে সক্রিয় হতে হবে এখনই।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে