রাজনীতি ও অর্থনীতি এ দুইয়ের মধ্যে আন্ত ও পারস্পরিক প্রভাবক সম্পর্কটা খুব একটা প্রাচীন নয়, তবে সময়ের বিবর্তনে সম্পর্কের মধ্যে ইতোমধ্যে মতান্তর ঘটেছে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা সমাজ ও রাজনীতি পরিবর্তনশীল নিজস্ব গতিতে, অর্থনীতি সমাজের সেই গতিশীলতার নিয়ামক। উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিফলন ঘটবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু সমস্যা দাঁড়ায় তখন, যখন অর্থনীতির কাছে সমাজ পরিবর্তনের প্রেসক্রিপশন প্রত্যাশা করা হয়, যখন আশা করা হয় সমাজ বিনির্মাণে আদর্শ ও দর্শন সরবরাহ করতে অর্থনীতির করণীয় নিয়ে। আবার অর্থনীতি যদি সমাজের সমৃদ্ধি সাধনে লাগসই ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও বঞ্চনা-বৈষম্যের পরিবেশ তৈরি হয়।
বাজেট রাষ্ট্রের (যার মালিক জনগণ) সঙ্গে সরকারের দায়দায়িত্ব কর্তব্য পরিপালনের পথ নকশা, আইনগত চুক্তি। সেই বাজেট প্রণয়ন, উপস্থাপন ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে যদি জনগণের তরফে সংসদে (বা সংসদীয় কমিটিতে) যথাযথ পরীক্ষা পর্যালোচনা বিচার-বিবেচনার প্রশ্ন উত্থাপনই না হয় বা হতে না পারে, তাহলে সমাজ ও অর্থনীতির গতিধারা, সমাজের গন্তব্য, সমাজের সার্থকতা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ তৈরি হবে এবং সে ক্ষেত্রে সমাজের উন্নতির প্রচেষ্টা ব্যর্থতার বিবরে চলে যাবে। সমাজ রাজনীতির স্বার্থসন্ধ কঠিন কর্কশ পথে এগোতে থাকবে আর সুবোধ বালকের মতো অর্থনীতি সর্বনাশের পথে পরিচালিত হলে তাতে ফায়দা লুটবে রাজনীতি, যাতে পথ সুগম হবে স্বেচ্ছাচারী হয়ে চলাচলের। অর্থনীতির সনাতন নীতি ও নিয়মকানুন বেকুব বনে যায় যে সমাজে, সেখানে উন্নতির কোনো কার্যকর গাইডলাইন বা রোডম্যাপ এখন কেন কস্মিনকালেও কেউ দিতে পারেনি, পারবে বলে মনে হয় না। কখনো-সখনো এ ব্যাপারে কথাবার্তা যে ওঠেনি তা নয়, কিন্তু কার্যকারণগত কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যার অবর্তমানে আলোচনাটা যেন সেভাবে রয়েই গেছে।
ইদানীং দেশে-বিদেশে সর্বত্র এ প্রশ্ন উঠে আসছে রাজনৈতিক অর্থনীতির মধ্যে পারস্পরিক হিস্সা বা শরিকানায় দূরত্ব বাড়ছে। রাজনীতি অর্থনীতিকে গ্রাস করছে, অর্থনৈতিক ভাব-ভাবনা ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে রাজনৈতিক ভেদবুদ্ধি প্রবল হয়ে উঠছে। নিঃসন্দেহে সমাজ আগে অর্থনীতি পরে। সমাজ একটা বড় ব্যাপার অর্থনীতিকে সেখানে নিয়ামক ভূমিকায় থাকতে হয়। সমাজ অর্থনীতিকে আমলে না আনলে সমাজের কিছু একটা যায় আসে না, কিন্তু অর্থনীতি সমাজকে উপেক্ষা করতে পারে না। সমাজই হচ্ছে অর্থনীতির ক্যানভাস, সমাজ ছাড়া অর্থনীতি চলে না, সমাজের জন্য অর্থনীতির ভূমিকা আছে। সমাজ নেই তো শুধু অর্থনীতি কেন অনেক কিছুই নেই। তবে অর্থনীতি সমাজকে নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ করে বলেই সমাজ তার অস্তিত্ব, গতিধারা এমনকি মিশন ও ভিশন নির্মাণের জন্য অর্থনীতির পথ চেয়ে থাকে। সমাজ এগোচ্ছে না পেছাচ্ছে, তা অর্থনীতির চেয়ে আর কে ভালো বলতে পারে? সমাজ সীমাহীন তীরহারা নদীর মতো চলার পথে অর্থনীতি তার তীর বেঁধে দেয়, অর্থনীতি তাকে নিয়ন্ত্রণের উপায় নির্দেশ করে, গতিশীল হতে সলাপরামর্শ প্রেরণা দেয়। সমাজ যেন স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে, সার্থকতা ফিরে পায় অর্থনীতির গতিশীলতায়।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয় আর্থিক প্রভাবের ও সক্ষম-সম্ভাবনার নিরিখে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব নীতিনির্ধারণ করে অর্থনৈতিক জীবনযাপনকে আয় উপার্জন ব্যয় বরাদ্দকে জবাবদিহির আওতায় এনে সুশৃঙ্খল, সুশোভন, সুবিন্যস্ত করবে এটাই সর্বজনীন এবং এই কিছুদিন আগপর্যন্ত তাই-ই সাব্যস্ত ছিল। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রেও নীতিমান ন্যায়নিষ্ঠবানের হাতে অর্থনীতি তথা ভাগবাঁটোয়ারার দায়দায়িত্ব অর্পণের কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু নীতিনির্ধারকের স্বার্থবাদিতায় যদি সম্পদ বণ্টন বৈষম্য সৃষ্টি ও বৃদ্ধির কারণে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় তখন আমজনতার অর্থনৈতিক জীবনযাপন সহায়ক হওয়ার পরিবর্তে দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। নির্বাহী নীতিনির্ধারক নেতৃত্ব যদি নিজস্ব তাগিদে ও প্রয়োজনে নিজস্ব উপায়ে সম্পদ ও স্বার্থ সংগ্রহে আত্মসাতে ব্যাপৃত হয় তখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের এখতিয়ার ও ক্ষমতা খর্ব হয়। আইন সভায় নীতিনির্ধারক বিধিবিধান তৈরি করবেন সবার জন্য প্রযোজ্য করে, নিরপেক্ষভাবে, দূরদর্শী অবয়বে। কিন্তু সেই আইন প্রয়োগে নীতিনির্ধারক নিজেই নিজেদের স্বার্থ অধিক মাত্রায় দেখতে থাকেন তাদের খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, প্রতিপক্ষরূপী বিরুদ্ধবাদীদের বঞ্চিত করতে স্বেচ্ছাচারী অবস্থান গ্রহণ করেন তখন ওই আইনের প্রয়োগে নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ তৈরি হয়। আস্থার অভাব দেখা দেয়। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ততার অবয়বে, নৈতিকতার অবক্ষয়জনিত পরিবেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আমজনতার আগ্রহ নেতিবাচক মনোভাবে চলে যেতে পারে ও সর্বোপরি সবাই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে। অথচ যে আস্থার সরোবরে গণতান্ত্রিক ও সেবাধর্মী রাজনৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ও টেকসই হওয়া নির্ভরশীল।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে উন্নয়ন ভাবনা ও কর্মসূচি পরিপালিত হবে দলমত নিরপেক্ষভাবে, কারও প্রতি অনুরাগ কিংবা বিরাগের বশবর্তী হয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুযোগসুবিধা অধিকার আদানপ্রদান, নীতি নিয়মকানুন ও আইনশৃঙ্খলার বিধানাবলি বলবৎ, প্রয়োগ ও বাস্তবায়নযোগ্য হবে না এটাই সব নাগরিকের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক সত্য ও প্রথা। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উৎপাদনে সম্পদে সংসার সমাজসহ নীতিনির্ধারক যেমন একটি রূপময়, বেগবান, ঐশ্বর্যমণ্ডিত ও আনন্দঘন সক্ষমতা নির্মাণ করবেন আবার রাজনৈতিক নীতিনির্ধারক এর একগুঁয়েমি তথা ও ভ্রান্ত পদক্ষেপের দ্বারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাকে, সমৃদ্ধির সক্ষমতা ও সুযোগকে তেমন প্রশ্নবিদ্ধ-পক্ষপাতযুক্ত করে দুনীতিগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। রাজনৈতিক কারণে পরস্পরের দোষারোপের দ্বারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পরিবেশ বিপন্ন হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা শুধু দ্বিধাগ্রস্ত নয়, হয় বাধাপ্রাপ্তও।
গণতন্ত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার থাকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের। বাজেটকে নির্বাচনি ইশতিহার বানাতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচির নানান প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে রাজনৈতিক দল। ভোটারকে প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয় ক্ষমতায় গেলে এ জাতীয় উন্নয়নের বন্যায় ভেসে যাবে দেশ। কিন্তু নেতৃত্ব তা যদি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে না পারে তাহলে ব্যর্থতার ও অভিযোগের তির নিক্ষিপ্ত হয় খোদ রাজনীতির নেতিবাচক ধারণার দিকেই।
পাঁচ দশকে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি নীতিনির্ধারক সরকার নেতৃত্বে এসেছে। প্রত্যেকের কিছু না কিছু অবদানে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীর সংখ্যা কমছে, দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে বা হচ্ছে। শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, মানুষের মাথাপিছু আয়ের পরিস্থিতিতে উন্নতি সাধিত হয়েছে। বাজেটের বপু বেড়েছে এডিপির আকার বেড়েছে। এখানে স্বভাবত প্রশ্ন এসেছে অর্থনীতির এ উন্নয়নে সরকারগুলোর একক কৃতিত্ব কতখানি। এসব সাফল্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সৃজনশীলতা, নির্ভরযোগ্যতা, সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ভূমিকা বেশি না আমজনতার অর্থনীতির স্বয়ংক্রিয় স্বচ্ছ সলিলা শক্তির বলে এটি বেড়েছে। এটাও দেখার বিষয় যে পরিস্থিতি এমন হয়েছে কিনা আমজনতার নিজস্ব উদ্ভাবন প্রয়াসে অর্জিত সাফল্য বরং নীতিনির্ধারকের নিজেরইকরণের দৃষ্টিভঙ্গি, ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের দ্বারা বরং বাঞ্ছিত উন্নয়ন অভিযাত্রা বাধাগ্রস্ত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরিকের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন প্রয়াসে তাদের কর্ম-উন্মাদনা ও প্রেরণায় ক্ষমতালোভী দুর্নীতিদগ্ধ রাজনৈতিক অভিলাষ বাধা সৃষ্টি করেছে কিনা কিংবা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়ে নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও সেবাপ্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত কিংবা বিড়ম্বনাদায়ক হয়েছে কিনা।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ ও অর্থনীতিতে কর ডিজিপির রেশিও কাক্সিক্ষত সাধারণ মাত্রার (জিডিপির ১৫/১৬ শতাংশ) চেয়ে যথেষ্ট কম। বর্তমানে কর জিডিপি রেশিও ৮/৯ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে অর্থাৎ জিডিপির ৫/৬ শতাংশ কর আওতার বাইরে বা সেখান থেকে রাজস্ব অনাহরিত থেকে যাচ্ছে। সেই টাকা হয় বিদেশে পাচার হচ্ছে নতুবা ন্যায়নীতিনির্ভরতার পরিবেশকে কলুষিত করছে। বলা বাহুল্য প্রতি বছর বাড়ানো বাজেটে জিডিপির ৪/৫ ভাগ পরিমাণ অর্থই ঘাটতি হিসেবে প্রাক্কলিত হতে হচ্ছে এবং এ ঘাটতির পরিমাণ অর্থ দেশি-বিদেশি কঠিন শর্তেও ঋণ নিয়েই সেই বাজেট বাস্তবায়িত হয়। অর্থাৎ দেশে জিডিপির আকার অনুপাতে যথাপরিমাণ ন্যায্য কর রাজস্ব অর্জিত হলে ঘাটতি বাজেট হয় না এবং বাজেট বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে ব্যাংকঋণ গ্রহণ কিংবা নানান শর্ত সাপেক্ষে বিদেশের কাছে হাত পাততে হয় না। গভীর অভিনিবেশ সহকারে বিচার-বিশ্লেষণের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, কেন ন্যায্য কর রাজস্ব আহরিত হয় না বা হচ্ছে না, কারা কর নেটের বাইরে এবং তাদের কর নেটের আওতায় আনার পথে প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যা কোথায়? বিভিন্ন কৌণিক দৃষ্টিতে পরীক্ষা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে দেশ, সমাজ ও প্রশাসন কর রাজস্ব সুষমকরণের পথে স্বচ্ছতার ন্যায়ানুগতার, পক্ষপাতহীন পদক্ষেপ নিতে অপারগ হয়েছে বা হচ্ছে। কর প্রদানে আহরণে, এমনকি কর রেয়াত বা অব্যাহতি প্রাপ্তিতে অন্তর্নিহিত অপারগতা, অসামঞ্জস্যতা বা দুর্বলতা রয়েছে। সাধারণ ও অসাধারণ করদাতায় অসম বিভক্ত সমাজে, বণ্টন বৈষম্যের প্রক্রিয়ায় অসাধারণ করদাতারা শুধু এক দাগে যে কর ফাঁকি দেয় সহস্র সাধারণ করদাতার ওপর তার চাপ পড়ে। বড় করদাতারা নীতিনির্ধারকের প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগে থাকলে কর প্রদান ও আহরণের সংস্কৃতি সুস্থ ও সাবলীল হতে পারে না। আইনপ্রণেতাদের সিংহভাগ অংশ বৃহৎ করদাতা হলে ক্ষমতার বলয়ে বসবাসকারী হিসেবে রেয়াত ও ছাড় গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপক কর রাজস্ব রাষ্ট্রের হাত ছাড়া হয়ে যায়। যথাযথ কর রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। অথবা কথাটি এভাবে ঘুরিয়ে বলা যায়, নীতিনির্ধারক নেতৃত্বের যে বলিষ্ঠ কমিটমেন্ট দরকার কর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে, যে এনফোর্সমেন্ট, যে সুষম পরিবেশ, যে পক্ষপাতহীন আচরণ, যে দৃঢ়চিত্ত মনোভাবের প্রয়োজন তা যেন থেকেও থাকে না। আইনসভায় যে অর্থবিল উত্থাপিত ও গৃহীত হয় সেখানে পরীক্ষা পর্যালোচনা-উত্তর ছাঁটাই প্রস্তাব পেশের কিংবা বিভিন্ন গঠনমূলক মত প্রকাশ বা প্রস্তাবনা পেশের ন্যায়নীতিনির্ভর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থায় অপারগতা, উপেক্ষা কিংবা সীমাবদ্ধতা প্রকট হয়ে উঠছে। ফলে বাজেটে ফিসকেল মেজারসগুলো যা যা যেভাবে উত্থাপিত হয় তাই গৃহীত হয়। মূল বাজেটে আয়-ব্যয়ে প্রাক্কলিত বরাদ্দ যথাযথ অর্জিত হচ্ছে কি না, তার জবাবদিহিকরণের সুযোগ সেখানে অনুপস্থিত। এটাই রাজনৈতিক অর্থনীতির বর্তমান হালহকিকত।
লেখক : সাবেক সচিব