গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নতুন ও নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই উদ্যোগের আওতায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরিবর্তে, গাজার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই ত্রাণপণ্য প্রবেশ করানো হবে। খবর আল-জাজিরার।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো গাজা উপত্যকায় ত্রাণের পরিমাণ বাড়ানো এবং জাতিসংঘের ওপর নির্ভরতা কমানো। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে এবং কঠোর নিরাপত্তা যাচাইয়ের মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক গাজা-ভিত্তিক ব্যবসায়ীকে ত্রাণ সামগ্রী আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
এই পণ্যগুলোর মূল্য শুধুমাত্র ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে এবং তা একটি নতুন নজরদারি ব্যবস্থার অধীনে তদারক করা হবে। সব ধরনের পণ্যই নিরাপত্তা পরিদর্শনের আওতায় থাকবে। তবে কারা এই অনুমোদিত ব্যবসায়ী, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে গাজা বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নগদ অর্থের মারাত্মক সংকট এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অনেক বাসিন্দা এখন পণ্যের বিনিময়ে পণ্য (বার্টার) পদ্ধতিতে লেনদেন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এই নতুন উদ্যোগকে কঠোর সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া এই প্রক্রিয়া মানবিক সংকট আরও গভীর করতে পারে। তারা গাজায় দ্রুত ও কার্যকর ত্রাণ সরবরাহের জন্য জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় তদারকি ব্যবস্থা পুনঃচালুর আহ্বান জানিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ