নন-ইমিগ্র্যান্ট তথা ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে ‘ফেরতযোগ্য নগদ অর্থের বন্ড’ জমা দিতে হবে। যেসব দেশের ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসাধারীর বেশির ভাগ যুক্তরাষ্ট্রে এসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে যাননি সেসব দেশের ক্ষেত্রে নয়া এই বিধি কার্যকর হবে। ২০ আগস্ট শুরু হয়ে এ পাইলট প্রোগ্রাম চলবে এক বছর। ৪ আগস্ট প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী, বন্ডের পরিমাণ হচ্ছে ৫ হাজার ডলার, ১০ হাজার ডলার ও ১৫ হাজার ডলার করে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এঙ্গোলা, রাইবেরিয়া, মরিতানিয়া, সিয়েরা লিয়ন, নাইজেরিয়া, টগো, জিবুটিতি, বুরুন্ডি, কাবো ভার্দে, বুরকিনা ফ্যাসো, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, ইরান, ইরিত্রিয়া, লাউস, সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন, হাইতি প্রভৃতি দেশের নন- ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারীর ১০ ভাগের অধিক নিজ দেশে ফিরে যায়নি। এ ছাড়া, যেসব দেশের এয়ারপোর্টের নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের মানদ অনুযায়ী বিশ্বাসযোগ্য নয়, সেসব দেশকেও টার্গেট করা হয়েছে। তবে সে তালিকায় বাংলাদেশ নেই বলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, আগের বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা ফি ২৫০ ডলার করে বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে যে ফি দিতে হচ্ছে তার সঙ্গে ২৫০ ডলার করে ১ অক্টোবর থেকে যোগ হবে। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদনের জন্য বর্তমানের ২১ ডলার ফি বেড়ে ৪০ ডলার করা হবে। তবে অস্ট্রেলিয়া, চিলি, ফ্রান্স, কাতার, সিঙ্গাপুরসহ ৪০টি দেশের নাগরিকদের জন্য এখানকার মতো নয়াবিধি কার্যকর হলেও ভিসা ফি লাগবে না। বন্ডের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পর। যারা সে নিয়ম লংঘন করবেন তাদের বন্ডের অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। এ অর্থ ব্যয় হবে অবৈধভাবে বসবাসরতদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার প্রক্রিয়ায়। এর আগ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষে ২০২০ সালের নভেম্বরেও এমন বিধি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে গোটাবিশ্ব লকডাউনে থাকায় সেটি কার্যকর হয়নি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নয়া এ বিধি অনুযায়ী বছরে ২ হাজার ভিসা প্রার্থীর একেকজনকে গড়পরতা ১০ হাজার ডলার করে বন্ড জমা দিতে হবে।