পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিটিআই সমর্থকরা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জড়ো হয়েছেন এবং বর্তমান সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি।
ইমরান খানের কারাদণ্ডের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর পিটিআই এই আন্দোলন শুরু করে।
প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনকালে দেশটির লাহোরে কমপক্ষে ছয়জন এমপিএ’কে (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য) গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক করা হয়েছে বিরোধী দলের উপনেতা মইন কুরেশিকে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন এমপিএ ফারুক জাভেদ মুন, কর্নেল শোয়েব, নাদিম সাদিক ডোগার, খাজা সালাহউদ্দিন, আমিনুল্লাহ খান এবং ইকবাল খট্টক।
এদিকে, পিটিআই’র পক্ষে থেকে দাবি করা হয়েছে-লাহোরে ৩০০ জনেরও বেশি কর্মীকে আটক করা হয়েছে এবং দলীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে চলমান রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের সমালোচনা করে পিটিআই পাঞ্জাব শাখা বলেছে, বয়স্ক সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে।
এক্স-এ পোস্ট করে পিটিআই ইসলামাবাদ জানিয়েছে, রেহানা ইমতিয়াজ দারকে আইওয়ান-ই-আদল থেকে জোরপূর্বক গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পিটিআই নেতা আসাদ কায়সারের মতে, ৫ আগস্ট বিক্ষোভের সূচনা, তবে এটিকে ‘চূড়ান্ত আহ্বান’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিকে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বলা হচ্ছে।
২০২৩ সালের এই দিনে ইমরান খান দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ করেন। তাই পিটিআই এই দিনটিকে তাদের আন্দোলনের প্রতীকী সূচনা হিসেবে আজকের দিনটি বেছে নিয়েছে।
আসাদ বলেন, দলের প্রাদেশিক ইউনিটগুলোকে মিছিল, গণসচেতনতা কর্মসূচি এবং অন্যান্য প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমরা তাদের অধিকার নিয়েই আওয়াজ তুলছি।
তিনি অভিযোগ করেন, ইতোমধ্যে পাঞ্জাব ও কাশ্মীর অঞ্চলে দলের নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড় শুরু হয়েছে এবং কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার হাসান ওয়াকার চিমার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জেলার সীমানার মধ্যে সব ধরনের সমাবেশ, অবস্থান, বিক্ষোভ, বিক্ষোভ এবং চারজনের বেশি ব্যক্তির সমাবেশ তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত