বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ফ্যামিলি কার্ডের ম্যাধমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পল্লী রেশনিংয়ের আওতায় আনা হবে। প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি বেকারের নতুন কর্মসংস্থান করা হবে। শিক্ষিত বেকারদের এক বছরের জন্য বেকার ভাতা ও অন্যান্য বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিটি উপজেলায় সুষমভাবে কল-কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপির আগামী সরকার প্রান্তিক কৃষকদের ‘ফার্মার্স কার্ড’র মাধ্যমে একটি ফসলের উৎপাদন খরচ, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয়, ঝুঁকি বিবেচনায় শস্য, পশু, মৎস্য ও পোল্ট্রি বিমা চালু করবে। একই সাথে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ কার্যকর পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে। গ্রামীণ হাট-বাজার আধুনিকায়ন করা হবে। গরিব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ করা হবে।
তিনি বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের ম্যাধমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পল্লী রেশনিংয়ের আওতায় আনা হবে। প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি বেকারের নতুন কর্মসংস্থান করা হবে। শিক্ষিত বেকারদের এক বছরের জন্য বেকার ভাতা ও অন্যান্য বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিটি উপজেলায় সুষমভাবে কল-কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করা হবে।
জনগণকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ধানের শীষের আগামী সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কায়েম করবে। তিনি সকলকে ‘দক্ষ দেখে, পক্ষ নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র বিএনপিরই রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা ও সক্ষমতা এবং ভবিষ্যতমুখী কর্মসূচি রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফান আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, মোনায়েম হোসেন খান খোকন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি অনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য মোতালেব হোসেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাঈমুর আরেফিন পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, ডা. মোশাররফ হোসেন, প্রভাষক এমদাদ হোসেন, সৈয়দুজ্জামান, প্রভাষক সৈয়দ গুলজার হোসেন নাঈম, মঞ্জুরুল হামিদ রানা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই