চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কমার কোনো লক্ষণ নেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে দাম।
বুধবার জেলা শহরের পুরাতন বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ (ছাঁচি) বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১০ টাকায়, আর ৯৫ টাকার নিচে কোনো পেঁয়াজ পাওয়া যায়নি।
মাত্র ১০ দিন আগেও ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০–৮০ টাকায়, আর তিন সপ্তাহ আগে দাম ছিল ৬০–৭০ টাকার মধ্যে। ফলে এক মাসে মোট দাম বেড়েছে প্রায় ৬০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এর প্রভাব পড়ছে পাইকারি বাজারে, যা খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যের বাজারে বাজেট সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
শিবগঞ্জের খুচরা বিক্রেতা শামীম উদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে এখন কেজিপ্রতি ৯৫–৯৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্রেতারা হতাশ, বিক্রিও কমে গেছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির তেমন কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে জেলার আমদানিকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, দেশে এখন সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। জানুয়ারির আগে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে না। দ্রুত আমদানি শুরু না হলে দাম আরও বাড়বে।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিন বলেন, বাজার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে মনিটরিং জোরদার করা হবে, যাতে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন