বরগুনার আমতলীতে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারি সহায়তার চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন জেলেরা। সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে চাওড়া ইউনিয়নের জেলেরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ।
মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাওড়া ইউনিয়নের ৬৪২ জন জেলে রয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর এসব জেলেদের মধ্যে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। তবে ওই ইউনিয়নের কালিবাড়ি, কাউনিয়া,পাতাকাটা ও চন্দ্রা গ্রামের অর্ধশতাধিক জেলেরা চাল পান নি বলে অভিযোগ করেন।
জেলেদের দাবি, জেলে কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাদের চাল দেওয়া হয়নি। কালিবাড়ি গ্রামের জেলে মিলন হাওলাদার বলেন, আমি একজন কার্ডধারী জেলে। এরপরও আমাকে চাল দেওয়া হয়নি। আমার চালকে কে নিয়েছে, আমি জানতে চাই।
এদিকে বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রোকনুজ্জামানের কাছে লিখিত দিয়েছেন আন্দোলকারীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, এখনও চিঠি হাতে পাইনি, চিঠি পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু করা হবে।
তালিকা অনুযায়ী চাওড়া ইউনিয়নের ৬৪২ জন জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাম।
তিনি বলেন, ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে জেলেদের তালিকা হাল নাগাদ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে জেলে নয়, এরকম অনেক জেলেদের নাম বাদ গেছে। তখন বাদ পড়া জেলেদের কার্ড ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। হয়তোবা বাদ পরা ওই সকল জেলেরা এখন চাল চাচ্ছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল