জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে যা কিছু ঘটে তার সবই মনে গেঁথে রাখা সম্ভব নয়। যা মনে গভীর রেখাপাত করে তা-ই ‘ক্ষত’ হয়ে টিকটিক বাজে এবং সুযোগ পেলে হিরণ্ময় হাতিয়ার হয়ে আঘাত হানে। স্মরণের প্রান্তর যাদের খুবই সংকুচিত তারা অবশ্য আফসোসকাতর হয়ে বলেন, চল্লিশ বছর আগে চৈত্রের মাঝ-দুপুরে গ্রামের অশ্বত্থতলায় ধরম আলীরে সাত শ টাকা কর্জ দেওয়ার সময় যে তিনটি লোক দেখেছিল তাদের একজন করম আলী। বাকি দুজন কে? ইরফান আর জিবরান, নাকি জিলানী আর তার ভাই নোমানী?
মরণের দিকে এগিয়ে চলা মানুষের স্মৃতি দিন দিন ফিকে হবে, প্রকৃতির এই বিধানের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। সেজন্যই মনে হচ্ছে, সাত শ টাকা কর্জ নিয়েছিল ধরম আলী। তিন সাক্ষীর মধ্যে দুজনের চেহারা চারজনের হয়ে কর্জদাতাকে বিভ্রান্ত করছে। চল্লিশ বছর আগের ব্যাপার, বিভ্রান্তি ঘটা স্বাভাবিক। একবার মন বলে, ইরফান আর জিলানী ছিল। আচ্ছা, টাকা কি সাত শ? না, সাত শ না। টাকা নিয়েছে বারো শ। হ্যাঁ, হ্যাঁ, বারো শ। পাঁচ শ টাকার নোট দুইখানা এবং এক শ টাকার নোট দুইখানা। উহ হুঁ! খটকা লাগছে। ধরম আলী নয়, কর্জ নিয়েছে করম আলী।
যে-ই নিয়ে থাকুক না কেন, টাকা তো টাকাই। কর্জ নিয়ে শোধ করেনি। ছ’মাসের মধ্যে শোধের ওয়াদা করে, এত বছরেও শোধ করল না। এ অভদ্রতার বিচার হওয়া দরকার। কিন্তু বিবাদী আর সাক্ষীর নাম যে পরিষ্কার মনে পড়ছে না। নির্লজ্জ ঋণগ্রহীতাকে দশটা কটুকথা শুনিয়ে সালিশ বৈঠকে যোগদানকারী লোকজনের সামনে অবনত মস্তক করিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগটা তাহলে হাতছাড়া হয়ে যাবে?
উজ্জ্বল স্মৃতিকে প্রতিশোধ গ্রহণের হাতিয়ার বানিয়েছেন, এরকম কয়েক ব্যক্তির কাজকারবার আমায় হতভম্ব এবং আমোদিত করে। কয়েকজনের ঘোষণায় চিন্তাঝাঁকুনিও খেয়েছি। যেমন কবি নির্মলেন্দু গুণ। এক কবিতায় তিনি ঘোষণা করেন, ‘কবিতা আমার নেশা, পেশা এবং প্রতিশোধ গ্রহণের হিরণ্ময় হাতিয়ার।’ এ ধরনের ঘোষণা না দিয়েও হিরন্ময় হাতিয়ারচর্চা করা যায়। যেমন করেছেন কবি সাযযাদ কাদির। ‘সংবাদ’-এ আমার সহকর্মী তিনি। তাঁর এক কবিতায় আছে- ‘মাঘী রাতে চাঁদের আলোয় ভেজা আঙিনা আমার/হঠাৎ সেথায় ছুটতে ছুটতে সাত কি আট কুকুর এলো/ওদের ঘেউ ঘেউ রোয়াবে মোর ভাবনা এলোমেলো/ক্রোধে ফোলা বুকের আগুনে খসছে বোতাম জামার॥’
সাহিত্যসেবার অঙ্গনে কতিপয় প্রতিভা নানা কায়দায় কবির জীবন তিতা করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। ধৈর্যের সঙ্গে বৈরী বাতাবরণ মোকাবিলা করতে গিয়ে কবির ধারণা হয় শান্তিবিনাশী এসব জীবকে দ্রুত ঠ্যাঙানোর বিকল্প নেই। এই বোধোদয়ই শব্দগুচ্ছ হলো : অঙ্গনে কুকুর এলো। সাযযাদ কাদিরের ‘জিগরী দোস্ত’ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে তাঁর সহপাঠী নোয়াখালীর রাজনীতিক ফখরুল ইসলাম। এরশাদীয় জমানায় বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ফখরুল। তাঁকে অভিনন্দিত করে চিঠিতে সাযযাদ কাদির লিখেছেন- ‘হেরে যাসনি, ভালো লাগছে। সেই সঙ্গে এ-ও ভাবছি, আল্লাহ রে আল্লাহ! কোথা থেকে কোথায় নেমে এলি!’
চমৎকার সব চুটকি শুনেছি তাঁর মুখে। ঝরঝরে ভাষায় গল্পও লিখতেন তিনি। সমাজের অসংগতিগুলোকে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে ফুটিয়ে তুলতেন গল্পে। ‘সূর্যের হাতকাটা জামা’ নামে তাঁর একটি গল্প পড়ে আমরা জানতে চাই, ‘এরকম নাম কেন? সাযযাদ কাদিরের উত্তর : ‘জামার দংশনে সূর্য মরণাপন্ন’ নাম দিলে ভালো হতো? জ্ঞানসাধনা যাদের দৃষ্টিতে প্রাণঘাতী কর্ম, তাদের যুক্তি সাজানোর কৌশল বর্ণনা করে সাযযাদ কাদিরের বলা চুটকি এ লেখার একেবারে শেষদিকে নিবেদন করব।
২.
ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের অন্যতম জগজীবন রামকে (মৃত্যু : ৬ জুলাই ১৯৮৬) মনে পড়ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন তিনি টানা ৩০ বছর; এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি। প্রথমবারের মতো লোকসভার (সংসদ) সদস্য হয়েছিলেন ১৯৫২ সালে। এরপর প্রতিটি সংসদেই মৃত্যুর সময়ও (১৯৮৬) সংসদ সদস্য ছিলেন। বিহার রাজ্যের এক চামার পরিবারের সন্তান জগজীবন রাম পড়ালেখা করতে গিয়ে অনেক অপমান-অবহেলা সয়েছেন। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। দলিত পরিবারে জন্মানোর ‘অপরাধে’ ভার্সিটির শিক্ষক ও সহপাঠীরা যে অবজ্ঞা দেখায় তার প্রতিবাদে বেনারস থেকে চলে গেলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসদলীয় সরকারে মন্ত্রী হন জগজীবন। নেহরু তাঁকে গুরুত্ব দিতেন খুব। এজন্য নেহরুর মেয়ে ইন্দিরা গান্ধীরও গভীর আস্থা আর শ্রদ্ধা অর্জন করেন তিনি। ইন্দিরা তাঁকে ডাকতেন ‘বাপুজি’। জগজীবনও স্নেহবিতরণে অকুণ্ঠ। ইন্দিরাকে ডাকতেন ‘ইন্দু’ নামে। কিন্তু রাজনীতির বিচিত্র স্রোতের আকস্মিক তোড়ে ভেসে যায় এই সম্পর্ক। ইন্দিরা জানতে পান, জরুরি অবস্থার কঠোর আইনে পুষ্ট কংগ্রেসি শাসনের বিরুদ্ধে বাপুজি তাঁর সমমনাদের জড়ো করছেন।
‘সামনে ইলেকশন বাপুজি। পার্টির ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না প্লিজ।’ মিনতি জানান প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা, ‘কী করলে আপনার মনঃকষ্ট দূর হবে, আমায় বলুন বাপুজি। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম বলেন, ‘ঠিক আছে ইন্দু। উদ্বিগ্ন হইও না। শিগগিরই তোমার সঙ্গে বসব।’ বাপুজি বসেননি। তিন দিন পর তিনি ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রিত্ব এবং কংগ্রেস ছাড়েন। সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন রাজনীতিক। তাঁরা গড়েন নতুন দল সিএফডি (কংগ্রেস ফর ডেমোক্র্যাসি)।
বাপুজির আচরণে স্তম্ভিত ইন্দিরা। জগজীবন রাম পদত্যাগ করেই থামেননি। তিনি ভিড়ে গেলেন জয় প্রকাশ নারায়ণ, মোরারজিভাই দেশাই, চৌধুরী চরণ সিং আর অটল বিহারি বাজপেয়ির মোর্চা ‘জনতা পার্টি’তে। ১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয় ঘটল। ইন্দিরা নিজেও হেরে গেলেন তাঁর নির্বাচনি এলাকা রায়বেরিলিতে। শ্রদ্ধেয় বাপুজি যে আঘাত দিলেন ইন্দিরার অন্তরে, তা গভীর ক্ষত হয়ে টিকটিক বাজতে থাকে।
জনতা পার্টি সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইও ইজ্জত দিলেন জগজীবন রামকে। তাঁকে করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। নতুনদের নিজেদের কামড়াকামড়ি শুরু হয় এক বছরের মাথায়। মোর্চাভুক্ত এক দল আরেক দলকে ল্যাং মারার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এই সময়েই বাপুজির ফোন, ‘একটা ঝামেলা হয়ে গেছে ইন্দু। তুমি হস্তক্ষেপ করলে ঝামেলাটি যাবে।’ ইন্দিরা জানতে চাইলে ঝামেলার বিশদ বলেন জগজীবন। ‘উদ্বিগ্ন হবেন না বাপুজি। সব ঠিক করে দেব।’ আশ্বাস দেন ইন্দিরা। হ্যাঁ, ইন্দিরা কথা রেখেছেন। ‘সব ঠিক’ করে দিয়েছেন এবং সেই মতো সাময়িক পত্রিকা ‘সূর্য’ তার ২৪ আগস্ট ১৯৭৮ সংখ্যার প্রচ্ছদ কাহিনির শিরোনাম করে ‘বান্ধবীসহ প্রতিরক্ষামন্ত্রীপুত্র অপহৃত’। প্রচ্ছদে ছাপা হয় ২১ বছর বয়সি সুষমা রানীর পাশে ৪০ বছর বয়সি সুরেশ কুমার রামের ছবি। ভিতরের ছয়টি পাতায় রয়েছে ঘটনার বিবরণ এবং তন্বী সুন্দরী সুষমা ও জগজীবন রামের ছেলে সুরেশ কুমারের পরম অন্তরঙ্গতার বিভিন্ন আঙ্গিকে তোলা রঙিন ফটোগ্রাফ।
সূর্য পত্রিকার প্রকাশক ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ (সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী) মানেকা গান্ধী। সুরেশ কুমার ২১ আগস্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি ও সুষমা ছিলেন মার্সিডিজ গাড়িতে, যাচ্ছিলেন এক অনুষ্ঠানে। রাত ১১টার দিকে সুঠামদেহী ছয় ব্যক্তি গাড়ি থামিয়ে তাঁদের অপহরণ করে। একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে দুজনকে বিভিন্ন স্টাইলে নিবিড় আন্তরিকতার পোজ দিতে বাধ্য করা হয়। ধারণকৃত ছবিগুলো অপহরণকারীরা উপযুক্ত জায়গায় পাঠায়। ‘ইন্ডিয়া টুডে’ পত্রিকার মতে, এর ফলে ফাঁস হয়ে গেল ভারতের ইতিহাসের প্রথম রাজনৈতিক যৌন কেলেঙ্কারির কেচ্ছা।
গুঞ্জন ওঠে : ঘোরতর রাজনৈতিক দুশমন চৌধুরী চরণ সিং অপহরণ চাতুরিতে ঘায়েল করেন জগজীবনকে। সুষমা রানী একদা চাকরি করতেন চরণ সিংয়ের ‘এবিকেএস’ নামক প্রতিষ্ঠানে। সেই সুবাদে চক্রান্ত সফলের লক্ষ্যে সুন্দরীকে দিয়ে মধুফাঁদ পাতা হয়েছে। এতে করে জগজীবনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায় এবং নির্বিঘ্ন হয় চরণের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ।
৩.
ডিগ্রি ক্লাসে আমার সঙ্গে পড়েছে তরিকুল আবেদ সারু আর মুর্শেদ করিম। দুজনের বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে। দশ-বারো সহপাঠীকে সারু দাওয়াত দেয় ওর চাচাতো বোনের বিয়েতে। নির্ধারিত দিনে আমরা ভূঁইয়া বাড়ি নামক বিয়েবাড়িতে হাজির। দেখি শ দেড়েক মেহমান অপেক্ষা করছে, বরযাত্রী এলেই খানা খেতে শুরু করবে। বাড়ির প্রকাণ্ড আঙিনার উত্তর ও পূর্ব দিকে দুটি শামিয়ানা বানানো। উত্তর দিকের শামিয়ানার নিচে বসেছে কনেপক্ষীয় যুবকরা। তাদের সঙ্গে বসেছি মুর্শেদ ও আমরা। আমাদের ডান দিকে প্রায় দশ গজ দূরে অস্থায়ী টিনের ছাউনির নিচে চারটি বড় বড় ডেকচিতে রান্না করা গরুর গোশত ও অন্যান্য খাবার প্রস্তুত। মাইকে বাজছিল হেমন্ত মুখার্জির গাওয়া ‘হায় আপনা দিল তো আওয়ারা/ না জানে কিসিপে আয়ে গা ...।’ বেলা দেড়টায় এলো বরযাত্রী দল। খাদ্য পরিবেশনের তোড়জোড় শুরু। টেবিলে টেবিলে দেওয়া হয়ে গেছে বাহারি নকশার প্লেট। দেখি শামিয়ানা থেকে বেরিয়ে দু’তিন ফুট এগিয়ে টিনের ছাউনির উদ্দেশে মুর্শেদ করিম উঁচু গলায় বলছে, ‘কাগা, ওই বাবুর্চি কাগা! লাফ দিয়া আইসা গোশতের ডেকচির মধ্যে যে ব্যাঙ পড়ছে, তারে ফালাই দিছেন?’
দাড়িঅলা দুই বাবুর্চি কর্মব্যস্ত। মুর্শেদের আওয়াজ তাঁদের কানে যায়নি। তবু মুর্শেদ বলে, ‘ফালাই দিছেন! ভেরি ফাইন। নো প্রবলেম।’ বরযাত্রীরা প্লেট ভাঙতে শুরু করে। আওয়াজ তোলে, ‘ব্যাঙ দিয়া রান্না গোশত খামুনা/খামুনা।’ ভোজ অনুষ্ঠান পণ্ড। সবাই চিৎকার করছে। কে শোনে কার কথা! আমাদের করণীয় কী?
আমরা কনেপক্ষীয়। ভাঙচুর আমাদের মানায় না। মুর্শেদ করিম এক চোখ বন্ধ করে ফিসফিসিয়ে বলে, ‘সমস্যা নাই। খাইতে আসছি, খাইয়াই যামু। ব্যাঙ ট্যাং কিসসু না। একটু পাল্টা খেল খেলেছি। টিট ফর ট্যাট আর কী।’ ইতিহাস হলো, বছর সাতেক আগে তরিকুল আবেদ সারুর বড় বোনের সঙ্গে মুর্শেদের চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। পাত্র পেশায় ডাক্তার। পাত্রীর এক ভাই করাচিতে সরকারি চাকুরে। সাত দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি এলে পাত্রপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হবে। কিন্তু পাত্রীর ভাই আসার দশ দিনেও পাত্রপক্ষকে ডাকা হয় না। কেন? তদন্তে জানা যায়, পাকিস্তান আর্মির ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কনের বিয়ে হয়ে গেছে। বেইজ্জতির বদলা নেওয়ার জন্য ‘খোনার বাড়ির পোলা’ মুর্শেদের ব্যাঙ ভরসা ছাড়া উপায় ছিল না।
৪.
সাযযাদ কাদিরের ‘পড়ালেখা প্রাণঘাতী’ শীর্ষক চুটকিতে এক ফাজিল যুবক জ্ঞান দিচ্ছে পাঁচ কিশোরকে। পড়ালেখা করলে বার্ষিক পরীক্ষায় পাস করবে। পাস করলে মজা, আনন্দে খেলবে। খেলতে খেলতে তুমি ক্লান্ত হয়ে যাবে। ক্লান্তি আর ক্লান্তি তোমায় করবে অসুস্থ। তারপর? অসুস্থায় ভুগতে ভুগতে একদিন টুপ করে মরে যাবে। কাজেই পড়ালেখা কিছুতেই নয়। কখনো নয়।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন