ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটিকে বিএনপির দুর্গ বলা হয়ে থাকে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনেও জয় পেয়েছে বিএনপি। এজন্য বিএনপির মনোনয়ন পেতে সবাই মরিয়া। এই তালিকায় রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামিম, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আহসান উদ্দিন খান শিপন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. ফরিদুল হুদার ছেলে ও জেলা বিএনপির সদস্য ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের মহাসচিব ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক তরুণ দে, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবু আসিফ আহমেদ ও সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লশকর তপু। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মোবারক হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ কারী নেছার আহমদ আন-নাছরী, এনসিপির আশরাফ মেহেদী, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মো. শাহজাদ ভূইয়া ও সিপিবির প্রার্থী উপজেলা সেক্রেটারি মোজাম্মেল পাঠান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এটি বিএনপির আসন। আমি এলাকায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’ বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামিম বলেন, ‘সরাইল ও আশুগঞ্জে প্রতিটি বিএনপি নেতা-কর্মী ও জনসাধারণের দুর্দিনে পাশে ছিলাম। বহুবার জেল খেটেছি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার ত্যাগ বিবেচনায় বিএনপি মনোনয়ন দেবে।’
ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আহসান উদ্দিন খান শিপন বলেন, ‘তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়তে চাই। মনোনয়ন পেলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় কাজ করব।’ জেলা বিএনপির সদস্য ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব বলেন, ‘১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আমার বাবা এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী মাওলানা মো. মোবারক হোসাইন বলেন, ‘ইতঃপূর্বে যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন তারা এলাকায় কোনো কাজ করেনি। তাই জনগণ পরিবর্তন চায়। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘আমি সর্বদাই মাঠে ছিলাম এখনো আছি। জনগণকে নিয়েই গ্রামগঞ্জে কাজ করে যাচ্ছি। এলাকায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’