এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে মেহজাবীন আফরোজা আলম স্নেহা। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (বাওয়া) থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সে। শুধু তাই নয়, এইচএসসিতে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১ হাজার ২৫১ নম্বর পেয়ে হয়েছেন চট্টগ্রাম বোর্ড সেরা। এসএসসিতে কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় এইচএসসি নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল। তবে মায়ের দেওয়া অনুপ্রেরণা ও অদম্য ইচ্ছায় এ সাফল্যের দেখা পেয়েছে স্নেহা।
সে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার নিমতলা এলাকার বাসিন্দা মো. মঞ্জুর আলম ও নাসরিন সুলতানা রনি দম্পতির বড় মেয়ে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বর্তমানে মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্নেহা বলছে, এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পারিনি। আশা করেছিলাম এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাব; কিন্তু আমার জিপিএ ছিল ৪.৭৮। তবে এইচএসসিতে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তিটা বেশি। আশা করেছিলাম ভালো রেজাল্ট করব, তবে সেটি যে বোর্ডের সেরা হবে তা জানতাম না।
স্নেহার বাবা মঞ্জুর আলম বলেন, স্নেহার এসএসসি পরীক্ষার সময় ওর মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ছিল। এরপরও দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। সেই সময় প্রস্তুতি ভালো হলেও শেষ সময়ে রিভিশন ভালোভাবে দিতে পারেনি। ফলে কাঙ্ক্ষিত পল অর্জন করতে পারেনি। এটা নিয়ে তার মন খারাপের শেষ ছিল না।
তিনি বলেন, তবে কলেজে ভর্তি হয়ে আবার পড়াশোনা শুরু করে স্নেহা। নিয়মিত কলেজ ও কোচিং চলছিল। সবমিলে স্নেহার ইচ্ছা ছিল ভালো ফল অর্জন করা এবং এসএসসিতে না পাওয়া জিপিএ-৫ অর্জন। এখন অনেক ভালো লাগছে; জিপিএ-৫ অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বোর্ডের সেরা হিসেবে। আমাদেরও আশা স্নেহা একজন মানবিক ডাক্তার হবে। স্নেহার এই অর্জনে ওর মায়ের প্রচুর গাইড ছিল।
স্নেহা যখন রাত জেগে পড়াশোনা করতো ওর মা পাশে বসে থাকতো-যোগ করেন বাবা মঞ্জুর আলম।
বিডি প্রতিদিন/কেএ