বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নে দুই কিলোমিটারের একটি কাচা রাস্তায় কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে রাস্তা দিয়ে হেটে চলাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ইউনিয়নের পশ্চিম রহমতপুর গ্রামের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশের সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে যাওয়া রাস্তাটির দত্ত বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে, সৃষ্টি হয় কাদা। তখন কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ হাজারো মানুষের কষ্টের আর সীমা থাকে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ধামুরা কলেজের প্রভাষক শরিফুল আলম শাকিল বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমাদের চলাচল করতে হয়। কাদা মাড়িয়ে যেতে গিয়ে তাদের জামা-কাপড় নষ্ট হয়, অনেকে পড়ে গিয়ে আহতও হয়। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে সময়মতো পৌঁছানোও সম্ভব হয় না। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি রাস্তাটি যেন পাকা করা হয় কিন্তু এখনো কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পশ্চিম রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মৃধা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল ঠিকভাবে বাজারে নিতে পারছেন না। সময়মতো পণ্য বিক্রি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। অন্যদিকে, রোগী পরিবহন করাও অত্যন্ত কষ্টকর। অ্যাম্বুলেন্স তো দূরের কথা, কোন যানবাহন রাস্তায় চলতে পারে না। অনেক সময় পায়ে হেঁটে রোগী হাসপাতালে নিতে হয়। ফলে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা এখন সময়ের দাবি।
রহমতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মিজান মুন্সি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার মাটি ফেলে রাস্তা ঠিক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এ এলাকার দোআঁশ মাটি টেকসই না। তাই পাকাকরণই একমাত্র সমাধান।
বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল হক আলিম বলেন, রাস্তাটির দুরবস্থার বিষয়টি আমরা অবগত আছি। আমরা এর উন্নয়নের ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল