বরিশাল বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি রোগী। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার (১ জুলাই) পর্যন্ত বিভাগের দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার সকল সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন মোট ৫,০৫৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪,৫৭০ জন, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৭৭ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন।
তবে বাস্তবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের তথ্য তাদের কাছে নেই। এছাড়া, ঢাকা বা অন্যত্র স্থানান্তরের সময় যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের হিসাবও অনুপস্থিত।
জানা গেছে, বরগুনা জেলায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেখানে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩,০৩৯ জন। এর মধ্যে ২,৭১৭ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন, বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন।
এরপর আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেখানে ভর্তি হয়েছেন ৭৩৬ জন, যার মধ্যে ৬৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন।
পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ৩৮৮ জন সুস্থ হয়েছেন, ৬৭ জন চিকিৎসাধীন এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭৮ জন, যার মধ্যে ১৫৭ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ২১ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
এদিকে বরিশাল জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১৪ জন। এর মধ্যে ২৮৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮ জন।
পিরোজপুর জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০৬ জন। তাদের মধ্যে ১৮৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ২১ জন এখনো চিকিৎসাধীন।
ভোলা জেলায় ভর্তি হয়েছেন ৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ৭২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং ৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮ জন, এবং চিকিৎসাধীন আছেন ৫ জন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ