কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। এক উইকেটে ১০০ রান করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। এরপর লংকান লেগ স্পিনার ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা আর অফ স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিসের ঘুর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে সাত উইকেট হারিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। ৭৭ রানের জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মিরাজ বলেন, উইকেট ভালো ছিল, আমি মনে করি আমরা ভালো বল করেছি বিশেষ করে পেস বোলাররা। মাঝের ওভারে অবশ্য আমরা উইকেট তুলতে পারিনি। আমাদের দুই জন বোলারের পায়ে সমস্যা হয়েছিল। তবে আসালাঙ্কাকে ক্রেডিট দিতে হবে।
তিনি বলেন, তামিম-শান্ত ভালো শুরু করেছিল আমাদের। যদিও শান্তর আউটটা একটা ভুল ছিল। মিডল অর্ডার ভালো করতে পারেনি। দ্রুত উইকেট হারানোর কারণে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের ছোট ছোট জুটি দরকার ছিল, আমাদের সুযোগ ছিল তবে সেটা ধরতে পারিনি।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। তাদের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম। তার বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন পাথুম নিসাঙ্কা (০)। এরপর ২৪ রান যোগ করতেই আরও ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দুটিই তাসকিনের শিকার।
সেখান থেকে কুশল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কা মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তারা দুজন মিলে তাদের দলের রান ৮৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। ৪৩ বলে ৪৫ রান করা কুশলকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার তানভীর।
এরপর জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে মিলে শ্রীলঙ্কাকে দেড়শ পার করান আসালাঙ্কা। সেই জুটির সমাপ্তি হয় শান্তর হাতে। পার্ট-টাইম স্পিনে তিনি ২৯ রান করা লিয়ানাগেকে বিদায় করেন। এরপর আরও দুটি ছোট ছোট জুটি পায় শ্রীলঙ্কা। দুটিতেই মূল ভূমিকা পালন করেন আসালাঙ্কা। এর মধ্যে মিলান রত্নায়েকে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দুজনেই ২২ রান করে করেন।
শেষদিকে লঙ্কান ইনিংস একাই টেনে নেন আসালাঙ্কা। তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। শেষ ওভারে আসালাঙ্কাকে ১০৬ রানে বিদায় করেন তানজিম। ২৪৪ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
জবাবে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। এক উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করে টাইগাররা। তবে এর পরই শুরু হয় লঙ্কানদের বোলিং তাণ্ডব। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
১০০ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশ মাত্র পাঁচ রান যোগ করতেই দলীয় ১০৫ রানে হারায় আরও সাত উইকেট। নাজমুল রান আউট হওয়ার পর একে একে ফিরেছেন লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান তামিম ও তাসকিন আহমেদ।
পরে জাকের আলী আর তানভীর ইসলাম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তানভীর ১৯ বলে ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ১২৫ রানে পতন হয় নবম উইকেটের। এরপর মুস্তাফিজকে নিয়ে এগোতে থাকেন জাকের আলী। তবে সেটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ১৬৭ রানে শেষ উইকেটের পতন হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন তানজিদ হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন জাকের আলী।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম