নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে নাগরিকের ‘ভোগান্তির মাত্রা কমেছে’ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে এ-সংক্রান্ত আবেদনও কমে এসেছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তা সন্তোষজনক পর্যায়ে আসবে বলে আশা করছেন ইসি সচিব। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে এনআইডি সংশোধনসংক্রান্ত ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’-এর অগ্রগতি তুলে ধরেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতি মাসে নাগরিকের এনআইডি সংশোধন নিয়ে আবেদনও কমে আসছে। ভোগান্তির মাত্রাও কমে এসেছে। আশা করি আগামীতে এনআইডি সেবা নিয়ে আর হয়রানির অভিযোগ থাকবে না।
সচিব জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি এনআইডি সংশোধনের অনিষ্পন্ন আবেদন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৬টি। ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে নতুন আবেদন পড়ে ৬ লাখ ৫ হাজার ৫২০টি। সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদনের মধ্যে ক্র্যাশ প্রোগ্রামে নিষ্পন্ন করা হয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি।
সচিব আখতার বলেন, প্রতি মাসে আগে যেখানে গড়ে ১ লাখ করে আবেদন পড়ত, এখন তা কমে প্রায় ৮০ হাজারে নেমেছে। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে ৭৬ হাজার ৬৯৪টি। এনআইডি সংশোধন ঘিরে বরাবরই নাগরিকের নানান ধরনের হয়রানি ও দুর্ভোগের অভিযোগ রয়েছে। এনআইডি আবেদনের ক্ষেত্রে সংশোধনের মাত্রা দেখে চারটি ক্যাটাগরি করে দিয়েছে ইসি সচিবালয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ, দলিলাদি যথাযথ কি না যাচাই শুনানি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে দেওয়া হয়।
২০২০ সাল থেকে ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১টি আবেদন জমা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে চার ক্যাটাগরিতে আবেদন নিষ্পন্ন হয়েছে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২০টি।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হয়, নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তির মাত্রাটা কমেছে। ছয় মাসে আবেদনের সংখ্যাও তুলনামূলক কমেছে। আগামী কয়েক মাসে তা সন্তোষজনক পর্যায়ে আসবে এবং হয়রানির অভিযোগগুলো আর হয়তো থাকবে না।’ সরকার পতনের পর নানান অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু রাজনীতিবিদসহ অনেকের এনআইডি ‘লক’ রয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সচিব বলেন, ‘নানান কারণে এনআইডি লক করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে এনআইডির অপব্যবহার রোধে তা করা হয়। এমনকি আমার এনআইডিও নাকি লক করা আছে। কারও ব্যক্তিগত বিষয়ের তথ্য না নেওয়াই ভালো।’