জয়পুরহাটের কালাইয়ে ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৪৫ জন শিক্ষার্থী হ্যাকারদের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা। এন্ট্রির আগেই অভিভাবকদের অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর হ্যাক করা হয়েছে, অভিযোগ প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের। এর আগেও ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৬৭ শিক্ষার্থীর ২৩ লাখ ২০ হাজার ৮০০ টাকা হ্যাক করে নিয়েছেন হ্যাকাররা। নতুন আরও ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের প্রতারণার ফাঁদে ঝুলে আছে। একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডেটা এন্ট্রি করেন সহকারী শিক্ষক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘আগে হ্যাকারদের ফাঁদে পড়ে ছিল ২৭টি বিদ্যালয়। এখন উপজেলার ৫৪টি বিদ্যালয়ই তাদের দখলে।’ কালাই উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার রাশেদুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের তথ্য অনলাইনে কেন এন্ট্রি হচ্ছে না, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ ইউএননো শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ‘উপবৃত্তি কার্যক্রমে এমন ঘটনা উদ্বেগজনক।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সফটওয়্যার ব্যবস্থার দুর্বলতা, মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের উৎস ও হ্যাকারদের শনাক্ত করতে সাইবার অপরাধ দমন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনায় বিকল্প ব্যবস্থার জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে।’