বরগুনার পাথরঘাটায় যৌতুকের দাবিতে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে গর্ভের সন্তানসহ হত্যার অভিযোগে স্বামী কামাল হোসেনকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফৈরদৌসী এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের উত্তর কাকচিড়া গ্রামের আ. আজিজ হাওলাদারের ছেলে কামাল হোসেন ২০০৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে ও তলপেটে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। ঘটনার দিনই কামাল মোবাইলে শাশুড়িকে জানায়, তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ এবং যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। পরদিন ভিকটিমের মা জাহানারা বেগম জামাই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ বাড়ির উঠানে দেখতে পান।
প্রথমে বামনা থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে ‘অপমৃত্যু’ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। পরে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর ভিকটিমের মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, '২০০৩ সালে শুরু হওয়া এই মামলার রায় পেতে সময় লেগেছে ২৩ বছর। রাষ্ট্রপক্ষের গাফিলতির কারণেই বিচার পেতে এত দীর্ঘ সময় লেগেছে।'
বাদী জাহানারা বেগম বলেন, 'রায় পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করছি পুলিশ দ্রুত পলাতক আসামি কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করবে।'
উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকেই কামাল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা