বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবার পর দুই হাত কেটে ফেলেও বাঁচানো যায়নি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাদাফকে। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হবার ২৩ দিন পর রবিবার সকালে ঢাকার জাতীয় বার্ণ ও প্লাষ্টিক সাজারী ইনষ্টিটিউট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সাদাফ ফুলবাড়ীয়া মর্ডান প্রি ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র ও মোজাম্মেল হোসেনের সন্তান।
জানা যায়, গত ২১ মার্চ সাদাফ পাশের ভবনের উজ্জল মিয়ার বাসার ছাদে উঠে সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করছিলেন। খেলাধুলার একপর্যায় ঝুঁলে থাকা পল্লী বিদ্যুতের কভারবিহীন তারের সাথে লেগে থাকা লোহার রডে হাত লাগতেই বিদ্যুৎস্পষ্ঠ হয়। এক পর্যায়ে নিচে খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সাদাফকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদাফকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাষ্টিক সাজারী ইনষ্টিটিউট এ স্থানান্তর করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদাফের দুই হাত কেটে ফেলার দীর্ঘ ২৩ দিন পর রবিবার সকালে সাদাফ মারা যায়।
নিহতের বাবা মোজ্জামেল হোসেন বলেন, ধার-দেনার টাকায় ছেলের চিকিৎসা করেছি। চিকিৎসার সময় সাদাফের দুই হাত কেটে ফেললেও ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার তো সব শেষ হয়ে গেল।
এ বিষয়ে জানতে ফুলবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের এজিএম নয়ন চন্দ্র'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের করার কিছুই নেই। আপনি উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।
ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি মো. রুকনুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম