চুয়াডাঙ্গায় চিচিঙ্গার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর চাষ। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা চিচিঙ্গা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত চিচিঙ্গা জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে অন্য জেলায়ও।
দামুড়হুদা উপজেলার গুচ্ছগ্রাম, ইব্রাহিমপুর, ঝোড়াঘাটা, রামনগর, কলবাড়ি গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা মেলে বিঘার পর বিঘা চিচিঙ্গা খেত। এসব মাঠে ধান-পাট-লাউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিচিঙ্গা চাষ। প্রান্তিক চাষিরা অল্প খরচে বাড়তি মুনাফার আশায় চিচিঙ্গা আবাদে আকৃষ্ট হচ্ছেন।
ইব্রাহিমপুর গ্রামের চাষি আবদুল মান্নান বলেন, এক বিঘা জমিতে চিচিঙ্গার আবাদ করতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এ থেকে এক মৌসুমে এক থেকে দেড় লাখ টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি হয়।
কৃষকরা বলেন, সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে চিচিঙ্গার চারা রোপণ করতে হয়। দুই মাসের মধ্যেই গাছে চিচিঙ্গা ধরে। বিক্রি চলে পরের চার থেকে পাঁচ মাস। এক দিন পরপর বিঘায় কয়েক মণ চিচিঙ্গা ওঠে।
চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, চিচিঙ্গা চাষে সার-সেচের খরচ অনেক কম। সঠিক পরিচর্যা করলে ফলন ভালো হয়। চিচিঙ্গা মৌসুম শেষ হলে একই মাচায় অন্য ফসল চাষ করা যায়। এতে পরবর্তী চাষেও খরচ সাশ্রয় হয়।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গায় প্রতি বছরই চিচিঙ্গার আবাদ বাড়ছে। এ বছর জেলায় ৮ হাজার ১২ হেক্টর মধ্যে ১৫০ হেক্টর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ হয়েছে। অধিক লাভের কারণে চাষিরা এ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তা ছাড়া সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণের কারণে বাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।