ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের নাওরা গ্রামে মোটরসাইকেল চাপায় এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। শিশু তাহমিনা আক্তার (৫) গ্রামের লিয়াকত শেখের মেয়ে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে তাহমিনা বাড়ির সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পাশের গ্রামের রবিউল (২৪) মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাহমিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে তার মৃত্যু হয়। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে নাওরা গ্রামের শতাধিক মানুষ ঢাল, সঁড়কি, রামদা নিয়ে পাশের গ্রাম পট্টির কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পট্টি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর মুন্সী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনাকে পুঁজি করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মুন্সীর লোকজন আমাদের ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে তারা প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি করেছে।’
এ ব্যাপারে আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম মুন্সী বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমি মোটেও জড়িত নই। শিশু মৃত্যুর ঘটনার ক্ষোভ থেকে উত্তেজিত এলাকাবাসী সামান্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।’