মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের বারান্দা থেকে রাসেল হোসেন (২৫) নামে এক বাস হেলপাররের মরদেহ উদ্ধার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক অজ্ঞাত ইজিবাইক চালক মরদেহটি হাসপাতালে রেখে দ্রুত সরে পড়েন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
নিহত রাসেল হোসেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পিতৃ-মাতৃহীন রাসেল স্থানীয়ভাবে তার নানা মো. মহব্বত আলীর সঙ্গে বসবাস করতেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সউদ কবির মালিক জানান, মরদেহের মাথা, কোমর ও উরুর মাঝামাঝি অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এগুলো পুরোপুরি সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
রাসেলের নানা মহব্বত আলী জানান, রাসেল আলসানী পরিবহণের একটি বাসে বরিশাল থেকে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। বিকেলের দিকে বাসের চালক আফজাল ও সুপারভাইজার রোকনুজ্জামান ফোন করে জানান, ভাঙ্গা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় রাসেল আহত হয়েছেন। এরপর কিছুক্ষণ পর তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মহব্বত আলীর অভিযোগ, বরিশাল-মেহেরপুর রুটে ওইদিন কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট থানাতেও এ ধরনের কোনো ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি।
রাসেলের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলেম বলেন, 'এটি কোনো সড়ক দুর্ঘটনা নয়। আমরা মনে করি রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।'
মেহেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/মুসা