জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে হবিগঞ্জে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর গুলিতে শহীদ হয়েছেন ১১ জন। এক বছরেও কান্না থামেনি শদীদদের স্বজনদের। শোকে মুহ্যমান প্রত্যেকের পরিবার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় বানিয়াচং বড় বাজার থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মিছিল শুরু হয়। বানিয়াচং থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। পুলিশ ও আওয়ামী নেতা-কর্মীর গুলিতে শহীদ হন নয়জন। তারা হলেন সোহেল আখঞ্জী, হোসাইন মিয়া, আশরাফুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, মোজাক্কির মিয়া, সাদিকুর রহমান, শেখ নয়ন হোসেন, আকিনুর রহমান ও আনাস মিয়া। তারা সবাই বানিয়াচং সদরের বাসিন্দা। ৪ আগস্ট হবিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় আওয়ামী লীগের। গুলিবিদ্ধ হন শহরের অনন্তপুরের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা রিপন চন্দ্র শীল। সদর হাসপাতালে নিলে তাকে মৃৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এর আগে ২ আগস্ট শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মোস্তাক আহমেদ নামে এক যুবক। শহীদ সোহেল আখঞ্জী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। তিন সন্তানের জনক সোহেল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। বাবা ফিরে আসবেন, বাজার থেকে মিঠাই আনবে এমন আশায় পথ চেয়ে আছে তাঁর তিন অবুঝ সন্তান। সোহেল আখঞ্জীর স্ত্রী মৌসুমী বলেন, ‘তিন সন্তান নিয়ে শঙ্কা, ভয় ও অনিশ্চয়তায় কাটছে দিন। সন্তানদের পড়ালেখার দায়িত্ব সরকার নিলে অনেক উপকার হতো।’ দ্রুত স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছেন তিনি। ছাত্রদল নেতা রিপন চন্দ্র শীলের মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন স্বজনরা। ১৫ মাসের সন্তান, বৃদ্ধ শাশুড়ি ও অসুস্থ দেবর নিয়ে কোনোভাবে দিন কাটছে রিপনের স্ত্রী তুষ্টি চন্দ্র শীলের। তুষ্টি বলেন, ‘রিপনের সঙ্গে অল্প বয়সেই আমার বিয়ে হয়। সংসার কী ঠিকমতো বোঝাই হয়নি। এর মধ্যেই স্বামী হারিয়েছি। ছেলে বাবা ডাকতে পারেনি। যারা ছেলেকে বাবাহারা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।’ রিপনের বড় বোন চম্পা রানী ভাইকে হারিয়ে এখনো কাঁদেন। দুই ভাইবোনের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিল জানান তিনি। শুধু সোহেল আখঞ্জী বা রিপন শীল নন, জেলায় শহীদ হওয়া প্রতিটি পরিবারেই এখন একই অবস্থা। এক বছর পেরিয়ে গেছে কান্না থামেনি স্বজনদের। এখন তাদের একটাই চাওয়া-দ্রুত যেন শেষ করা হয় নির্মম এ হত্যাকাে র বিচার। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছ বলেন, ‘রিপন শীলের পরিবারকে ইতোমধ্যে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। তাঁর পরিবার আমার বাসার ভাড়াটিয়া। তাঁরা যতদিন এ বাসায় থাকবে ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছি। এ ছাড়া জেলায় শহীদ অন্যদের পরিবারকেও বিএনপি এবং আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
শিরোনাম
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘিরে চট্টগ্রামে নানা আয়োজন
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৫
- গোপন করার কিছু নেই, এনসিপি কিংস পার্টি : ইফতেখারুজ্জামান
- যৌন হয়রানির অভিযোগে বেরোবির অধ্যাপক বরখাস্ত
- স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : চরমোনাই পীর
- বগুড়ায় পাঁচ শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- হাসিনার বিষয়ে ইতিবাচক উত্তর দেয়নি ভারত : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পৃথকভাবে শিক্ষার্থী ও থ্রি-হুইলার চালকদের মহাসড়ক অবরোধ, ভোগান্তি
- নগরীর ভাঙা সড়ক দ্রুত সংস্কার করতে হবে: চসিক মেয়র
- হিলিতে বেড়েছে আলু-পিঁয়াজ-ডিমের দাম, কমেছে জিরার
- 'আওয়ামী লীগের লোকজনের ইউনিয়ন ও গ্রামপর্যায়ে সম্পদের হিসাব নিতে হবে দুদকের মাধ্যমে'
- বিএনপির আগামী দিনের নীতি জনগণের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি
- ‘তোষামোদকারীরা হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সহযোগিতা করেছে’
- ‘আসুন এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না’
- এসিইউ কাউন্সিলের সদস্য হলেন বাউবি উপাচার্য
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ও সড়ক মেরামতে সেনাবাহিনী
- মাগুরায় জুলাই শহীদদের স্মরণে শোক র্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- বান্দরবান সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণ, তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন
- আখাউড়ায় কল্লা শহীদ (রহ.)-র বার্ষিক ওরস শুরু ১০ আগস্ট
- তিন মাসের মধ্যে ওয়েলিংটন ও জোহর বাহরুতে মিশন খুলবে বাংলাদেশ
কান্না থামেনি শহীদ পরিবারে
জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর