কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দুটি পরিবারকে ‘একঘরে’ ঘোষণার প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভ মিছিল গতকাল নিকলী সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা স্মারকলিপি ইউএনওর কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ১২ এপ্রিল রাতে নিকলী সদর ইউনিয়নের কুর্শা গ্রামের মাতবররা আবু বাক্কার সিদ্দিকের পরিবারকে একঘরে ঘোষণা করেন। আরেক ভুক্তভোগীর নাম আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধের বিচার চাইতে গেলে উল্টো তাকে ‘একঘরে’ করা হয়।
ইদ্রিছ আলী ইদু বলেন, মসজিদের উন্নয়নে যারা চাঁদা দেননি মাইকে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বাক্কারের নামও ছিল। বাক্কার সমাজকে গালিগালাজ করেছেন। এ কারণে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। হামিদকে সমাজচ্যুত করার বিষয়ে তিনি বলেন, সেও তার (ইদু) মা-চাচিকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেছে। সে সমাজ মানেনি। পরে সমাজের মানুষ তার সঙ্গে আর চলবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।