কয়েক দিন পরই ঈদুল ফিতর। এ ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৩ স্পটে তীব্র যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। এ ১৩ স্পটের সাতটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের ২১ কিলোমিটারে এবং ছয়টি ঢাকা-সিলেট অংশের ২২ কিলোমিটারে। মেঘনা টোল প্লাজা সূত্রমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দৈনিক ১৮-২২ হাজার যানবাহন চলাচল করে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ সড়কে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫-২৮ হাজার। ঈদের সময় এ সড়কে চলাচল করা যানবাহনের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। বাড়তি চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারে সাইনবোর্ড মোড়, মৌচাক বাসস্ট্যান্ড, ১০ তলা বিল্ডিংয়ের দুই পাশের সার্ভিস লেন, শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড, মদনপুর ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড, তারাবো বিশ্বরোডের গোলচত্বর, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, বরপা, গার্মেন্ট মোড় ও গাউছিয়া স্ট্যান্ডে যানজট হতে পারে বলে জানান যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। যানজটের কারণ হিসেবে তারা যেখানে-সেখানে পার্কিং, সড়ক বন্ধ করে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো এবং মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনাকে দায়ী করছেন। শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার রুবেল মিয়া বলেন, ‘ঈদ এলে রাস্তায় গাড়ি বাইড়া যায়। এ গাড়িগুলা যেনে হেনে যাত্রী উঠা নামা করে সাইডের রাস্তা বন্ধ কইরা খাড়ায় থাকে। এল্লিগ যানজট বেশি লাগে।’ শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের টিএই আবু নাঈম বলেন, ‘আমরা আগে একটি টহল টিম সড়কে দিতাম এবার দুটি টিম কাজ করছে। আশা করছি ভোগান্তি হবে না।’ নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ইতোমধ্যে মেঘনা টোল প্লাজায় ১২টি বুথ বসানো হয়েছে। টোল প্লাজায় সমস্যা হবে না। সড়কে কিছু অংশে খানাখন্দ রয়েছে সেগুলো ঈদের আগেই সংস্কার করা হবে।’