২০২১ সালে যারা ব্রিটেনে এসেছিলেন স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে, যারা অপেক্ষা করছেন ২০২৬ সালে ৫ বছর পূর্ণ করে ব্রিটেনে স্থায়ী হবেন-তাদের জন্য হঠাৎ করেই দুঃস্বপ্নের মতো আঘাত এসেছে ২০ নভেম্বর। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাজ্যে বৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি (Indefinite Leave to Remain–ILR) পেতে এখন ২০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
তার ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, আইএলআরের যোগ্যতা অর্জনের ন্যূনতম সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হবে। এই পরিবর্তন ২০২১ সালের পর দেশে প্রবেশ করা প্রায় ২৬ লাখ মানুষের ওপর প্রযোজ্য হবে। তবে যারা এরই মধ্যে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ পরিবর্তন প্রযোজ্য নয়। শাবানা মাহমুদ বলেন, ‘ব্রিটেনের অংশ হওয়া কোনো অধিকার নয়, এটি একটি সুযোগ, যা অর্জন করতে হয়।’
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে অভিবাসন ব্যবস্থায় ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি বড় পরিবর্তন ঘোষণা করেছেন শাবানা মাহমুদ। নতুন প্রস্তাবের মূল পয়েন্টগুলো হলো- অধিকাংশ কর্ম ভিসা ও পরিবার ভিসা ধারীদের জন্য আইএলআরের অপেক্ষার সময় এখন ১০ বছর। ১২ মাসের কম সময় বেনিফিট গ্রহণ করলে অপেক্ষার সময় বাড়বে ১৫ বছরে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা ভিসাধারীদের জন্য অপেক্ষার সময়ও বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হবে (বর্তমানে ৫ বছর)। ১২ মাসের বেশি সময় বেনিফিটের ওপর নির্ভরশীলদের স্থায়ী বসবাস পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০ বছর, যা ইউরোপে সবচেয়ে দীর্ঘ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নেট মাইগ্রেশন যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যায় ২৬ লাখ মানুষ যোগ করেছেন। ফলে ২০২৬-৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ আইএলআরের জন্য আবেদন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকার জানিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় স্থায়ী বসবাস পেতে আবেদনকারীদের দেখাতে হবে: সামাজিক সংহতি (Social Integration), অর্থনৈতিক অবদান, ভালো Character। এ ছাড়া এ-লেভেল সমমানের ইংরেজি দক্ষতা, সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন ক্রিমিনাল রেকর্ড, টানা ৩ বছর ১২,৫৭০-এর বেশি আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে।