শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশে বৃহৎ ও ছোট আকারের সাতটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ট্রিপ (বন্ধ) করেছে। একই সঙ্গে একটি সাবস্টেশনও দুর্ঘটনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় গ্রিডে বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে পরিস্থিতি ঠিক হতে সময় লাগবে বলে বিপিডিবি ও পিজিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে।
বিপিডিবি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর বেলা ১১ টা ৫০ মিনিট পযন্ত দেশের সাতটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও একটি গ্রিড সাবস্টেশন বন্ধের খবর পেয়েছে। বাকি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গ্রিডের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান বিপিডিবির দু’জন কর্মকর্তা।
বিপিডিবির পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, ভূমিকম্পের কারণে সামিটের বিবিয়ানায় ৩৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। বিপিডিবির বিবিয়ানা-৩ (৪০০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশুগঞ্জে ২২৫ মেগাওয়াট, ৫৫ মেগাওয়াট ও ৫০ মেগাওয়াটের তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া চট্টগ্রামে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ার ৬০০ ইউনিটের একটি কেন্দ্র, সিরাজগঞ্জে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ঘোড়াশালের গ্রিড সাবস্টেশন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৩০ কেভি, ১৩২ কেভি ও ৩৩ কেভি লাইন বন্ধ হয়ে গেছে।
বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পে ১১টা ৫০ মিনিট পযন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। আরো কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্র চালু করতে সময় লাগবে। তবে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় লোডশেডিং হওয়ার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই।
এর আগে আজ শুক্রবার সকালে তীব্র ভূকম্পন অনূভূত হওয়ার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন ও বিতরণ বন্ধ হওয়ার কথা জানায় বিপিডিবি। সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, শক্তিশালী ভূমিকম্পজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন