রংপুরের পীরগঞ্জে দাদিকে হত্যার অভিযোগে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত নাতি অনীক হাসান হৃদয়কে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বড়ঘোলা গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে। হৃদয়ের তথ্যে হত্যাকাে ব্যবহৃত ছুরি গতকাল সকালে বড় মজিদপুরের রফিকুলের পরিত্যক্ত রাইস মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোররাতে বড় মজিদপুর থেকে আকলিমা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের আবদুল হাকিম মিয়ার স্ত্রী। ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহতের ভাই রায়পুর ইউনিয়নের নখারপাড়ার ওবায়দুল হত্যা মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, একই বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন পৃথক ঘরে রাতযাপন করতেন। শনিবার ভোররাতের দিকে আবদুল হাকিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে এলে স্ত্রীর ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। তিনি ঘরে ঢুকে গলা কাটা অবস্থায় স্ত্রীর নিথর দেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে দুই ছেলে রাশেদুল ও শাহিন ছুটে আসেন। রাশেদুল ও শাহিন জানান, ‘আট-দশ বছর আগে বড় মজিদপুরে পৃথক বাড়ি নির্মাণ করে বাবা-মা সেখানে বসবাস করেন। আমরা বাস্তুভিটা বড়ঘোলায় দুই ভাই বসবাস করি।’
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, হৃদয় রাশেদুলের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। জুয়ার টাকার জন্য দাদিকে হত্যা করতে পারে। হৃদয় শুক্রবার রাত ১টার দিকে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনে খেজমতপুরে নামে। রাতেই দাদার গ্রামের বাড়ি আসে। দাদি আকলিমার সঙ্গে রাতের খাবারের পর খোশগল্পের একপর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়লে দাদিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।