আসরের শুরুটা ছিলো আশা জাগানিয়া। তবে শেষরক্ষা হলো না। হারের বৃত্তে আটকে যাওয়া টাইগ্রেসদের এবারও ফিরতে হচ্ছে নারী বিশ্বকাপের শুরু দিক থেকে।
তবে পুরো টুর্নামেন্টের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচেও দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে শেষ পর্যন্ত হারতে হলো তাদের। লঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজন থাকলেও সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি নিগার সুলতানারা। মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের আশা শেষ হলো বাংলাদেশের।
মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন পেরেরা। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসের সেরা বোলার ছিলেন স্বর্ণা আক্তার। তিনি ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া রাবেয়া খান ৩৯ রানে নেন ২ উইকেট।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্নের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। অপর ওপেনার ফারজানা হকও বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন; ৩৫ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি।
মাত্র ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চারে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা দলকে উদ্ধার করেন। দুজন মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। কিন্তু ৬৪ রান করার পর চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুপ্তাকে। এরপর স্বর্ণা আক্তার কিছুটা সঙ্গ দিলেও (১৯ রান) ফেরার পর আবার ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে।
জ্যোতি এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। তবে শেষ ওভারে তিনিও সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭৭ রানে। শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯ রান—কিন্তু চামারি আতাপাত্তুর প্রথম বলেই রাবেয়া লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন, পরের বলে রান আউট হন নাহিদা আক্তার। তৃতীয় বলে জ্যোতির আউট হওয়ায় ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৫ রানে।
এর আগে বল হাতে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন মারুফা আক্তার। ইনিংসের প্রথম বলেই ভিষমি গুনারত্নেকে এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি। কিন্তু আতাপাত্তু ও পেরেরার ৭২ রানের জুটিতে ফিরে আসে শ্রীলঙ্কা। আতাপাত্তু ৪৩ বলে ৪৬ রান করে আউট হলেও পেরেরার ৮৫ রানে ভর করে দুইশর ঘর পেরোয় দলটি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল