যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বর্তমানে এই কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। এতে লোডশেডিং এর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার সন্ধায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে তৃতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরই মধ্যে রবিবার রাতে ১ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরআগে ২০২০সাল থেকে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। ফলে এখন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান, ইউনিটগুলো চালুর জন্য প্রস্ততকারক চীনা কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। ১ নম্বর ইউনিটটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ৩ নম্বর ইউনিটটি চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ফলে এই ইউনিটের সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তিন মাস সময় লাগতে পারে।
তিনি জানান, ১৬ অক্টোবর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ রবিবার দিবাগত রাতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারে টিউব ফেটে যায়। ফলে ওই ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ ওই ইউনিট থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল। সব ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে এই কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না।
এদিকে, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি (নেসকো) রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডল জানান, বড়পুকুরিয়া থেকে জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পাচ্ছিলাম তা এখন ঘাটতি পড়ে যাবে। তাই অবশ্যই সমস্যা তৈরি হবে।
উল্লেখ্য বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট করে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন। আর ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ