জামায়াতে ইসলামীর আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনে এবার নিজেদের সব দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে এক কাতার হয়েছে বিএনপি। ফলে দলীয় সমর্থকসহ নেতা-কর্মীরা এখন দারুণভাবে আত্মবিশ্বাসী। এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে এ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছেন দলের বিশিষ্ট পাঁচ নেতা। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মানবাধিকার সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান ও জামাল হোসেন, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন। এ ছাড়া এরই মধ্যে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি এনএম নাসির উদ্দীনের নাম শোনা যাচ্ছে। এর বাইরে আর কোনো দলের প্রার্থী সম্পর্কে কোনো তথ্য মেলেনি।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দীন বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এ আসনটি বিএনপির। বিভিন্ন সময় বিএনপির দুর্বলতা বা প্রার্থী সিলেকশনের ভুলের কারণে এটা হাতছাড়া হয়েছে। তবে এবার আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ফলে হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারব বলে আশাবাদী।’ মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রী হওয়া আমার লক্ষ্য নয়। আমার একটাই লক্ষ্য, মানুষের পাশে থেকে সম্মানটা ধরে রাখা।’ মনোনয়নপ্রত্যাশী মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে রয়েছেন। অপেক্ষা করছেন নব স্বৈরাচারদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। ধানের শীষের প্রতীক যাকেই দেওয়া হোক না কেন তার বিজয় নিশ্চিত।’ মনোনয়নপ্রত্যাশী নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের ঘন অন্ধকার থেকে শুরু করে আজকের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। আশা করি দল এই দীর্ঘ সময়ের নিষ্ঠা, ত্যাগ ও মাঠপর্যায়ের গ্রহণযোগ্যতাকে মূল্যায়ন করে আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
এদিকে কথা বলার জন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।