সপ্তাহের প্রথম দিনে তেজিভাব ছিল শেয়ারবাজারে। একদিন পরই আবার মন্দাভাব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছিল। কিন্তু গতকাল লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সূচকের পতন হয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ রবিবারের থেকে বেড়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমেছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এর পরও বাজারটিতে প্রধান মূল্যসূচক ও টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বেড়েছে ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৫টির। আর ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স রবিবারের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। রবিবার লেনদেন হয় ৬১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তুলনামূলক লেনদেন বেড়েছে ১১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল টেলিকম খাতের রবির শেয়ার। ৩০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা ৮০ পয়সায় কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে সোনালি পেপারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ২০ লাখ টাকার। ২২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।