খুঁজে খুঁজে জামায়াত-শিবির মতাদর্শের কর্মকর্তাদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে তো আছেই। এরপর যে ছেলেরা সেই বিশেষ ইসলামপন্থি দলটির- যারা একসময়ে ছাত্রজীবনে শিবির করেছেন তাদের এনে বসানো হয়েছে। যারা ক্যাডার সার্ভিসের সুযোগ পাওয়ার পরও শিবিরের (ইসলামী ছাত্রশিবির) ক্যাডারেই রয়েছেন। দলীয় এই ক্যাডাররা প্রশাসনে থাকলে এই রাষ্ট্র কখনো একটা ফাংশনাল বা আর্টিকুলেট রাষ্ট্র হবে না। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দলের মুখপাত্র রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এভাবে দল যদি খোঁজখবর নিয়ে এদের কিং পয়েন্টে আনে এবং তারা যদি ভূমিকা রাখতে চান তাহলে কখনোই আপনি একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন না। যখনই দলীয় মতাদর্শের ক্যাডারদের আপনি বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করবেন- তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা শুনি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব তিনি জামায়াতের লোক। তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে বলতে চাই, দীর্ঘদিন ধরে আপনারা যাকে জনপ্রশাসন সচিব করেছিলেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে তিনি (মোখলেস উর রহমান) গোড়া থেকেই একজন বিএনপিবিরোধী লোক ছিলেন। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নামে একেবারে কীভাবে গুছিয়ে মিথ্যা মামলা সাজানো যায় সেটা তিনি করেছিলেন। তাকে আপনারা দীর্ঘদিন ওই পদে রেখেছিলেন। তিনি বা তারা খুঁজে খুঁজে যে ছেলেগুলো হয়তো ছাত্রজীবনে ছাত্রদল অথবা বিএনপি পরিবারের ছেলে তাদের দূরে রাখার কাজটি করেছেন। তাদের সব গুরুত্বহীন জায়গায় বা ওএসডি করে রেখেছে।