বরিশালের বাকেরগঞ্জে জমি ইজারা না দেওয়ায় সোহেল ওরফে মিরাজ খান (৩৫) নামের যুবককে ডাকাত অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ কবাই (চরকবাই) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোহেল দক্ষিণ কবাই গ্রামের নুরুল ইসলাম খানের ছেলে। তিন মেয়ে ও দুই ছেলের জনক তিনি। সোহেলের মেয়ে ফাতিমা জানান, তাদের জমি ইজারা নিয়ে গত বছর তরমুজ আবাদ করেন একই গ্রামের শাহীন হাওলাদার। প্রচুর টাকা লাভ হলেও তাদের টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করেননি। তাই এ বছর তাকে জমি দেওয়া হয়নি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। রাতে শাহীন বারবার ফোন দিলেও বাবা ধরেননি। পরে শাহীন তার দুই ভাই মাসুদ ও শামীমকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। তারা বাবাকে ডেকে নিয়ে জমি চান। বাবা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন তারা। স্থানীয়রা জানান, সোহেলের বিরুদ্ধে বরিশাল ও পটুয়াখালী থানায় মাদক, চুরি, ডাকাতির অভিযোগে মামলা রয়েছে। জমি না দেওয়ায় মামলাগুলোর সুযোগ নিয়েছে শাহীন হাওলাদার। তিনি ও তার দুই ভাই মিলে সোহেলকে ডাকাত সাজিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। তবে শাহীন হাওলাদার জানান, রাত ১২টার দিকে সোহেলসহ ১৪-১৫ জন ডাকাত তার ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা ও প্রায় তিন ভরি স্বর্ণ লুট করেন। এ সময় তিনি শ্বশুরবাড়ি বাউফলের কাঠিপাড়া এলাকায় ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে ডাকাতদল পার্শ্ববর্তী শওকত খানের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করেন। তখন এলাকাবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করেন। এ সময় সোহেলকে আটক করা হলেও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল ভোর পৌনে ৪টার দিকে ৯৯৯-এ কল আসে যে, চরকবাই গ্রামে এক ডাকাতকে আটকে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত পা-বাঁধা অবস্থায় সোহেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শেরেবাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।