ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪২ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, রুকমীলার মালিকানাধীন কোম্পানি আরমিটের এজিএম ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক আবদুল আজিজ, আরমিটের এজিএম ও ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আরমিটের কর্মচারী ও মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্সের মালিক সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মালিক ফরিদ উদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা ইউসিবিএল মহাখালী শাখার গ্রাহক ও ব্যবসায়ী সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন কিস্তিতে মোট ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরবর্তী সময়ে এই অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বিদেশে পাচার এবং মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী ও থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫২ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ইতোমধ্যে প্রায় ১২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানসহ অর্ধশত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ইতোমধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।