প্রায় সমান আয় ও ব্যয় দেখিয়ে ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)। দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেন। পরে নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৪ সালে গণঅধিকার পরিষদের আয় হয়েছে ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা। আগের জমা ছিল ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৩ হাজার ২১২ টাকা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতিবছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত বছর ২ সেপ্টেম্বর ইসির নিবন্ধন পাওয়া গণঅধিকার পরিষদ এবারই প্রথম আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল। আওয়ামী লীগের শরিকদের নিবন্ধন স্থগিতের দাবি : ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটভুক্তদের নিবন্ধনও স্থগিতের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। রাশেদ খাঁন বলেন, জাপা ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিতে ইসির করার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সিইসি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় দলটির নিবন্ধন স্থগিত করা হয়। এখন সরকারের দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে যেভাবে নিষিদ্ধ করেছে, তেমনি একই প্রক্রিয়ায় জাপা, ১৪ দলসহ যারা দোসর ছিল, তাদেরকে নিষিদ্ধ করা।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা ভোটে অংশ নিতে পারল না কিন্তু জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে আওয়ামী লীগ আবার ভোট জাপায় দেবে। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি রূপে ফিরে আসবে। রাশেদ খাঁন দাবি করেন, সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ইসি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না, যাতে নামে, বেনামে, কোনোভাবে ‘ফ্যাসিবাদ’ ফিরে আসতে পারে।