ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বে যতটা সম্ভব সংস্কার হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে পার্লামেন্টে বসে আমাদের সংস্কারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করব। ড. ইউনূস যে কথা দিয়েছেন তা করতেই হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করে ঘরে ফিরে গেলেও আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনিয়ে নিয়েছিল। ২৪ এর অভ্যুত্থান একই দিকে যাচ্ছে।’ গতকাল ‘২০২৪-পরবর্তী রাজনৈতিক সংকট এবং নির্বাচন-পূর্ব সহিংসতা মোকাবিলায় আমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপে এসব কথা বলেন সেলিমা রহমান। জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ। আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, যুগপৎ আন্দোলনের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন স্কুল অব লিডারশিপের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ড. নয়ন ভাঙ্গালি। এ সময় স্পার্ক নামক একটি নতুন উইং চালু করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার মইন ফিরোজী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষের মাঝে শেখ হাসিনা লোভ, চাঁদাবাজি ও দখলদারির বীজ রোপণ করে গেছেন। আজকে যারা বিভিন্ন মিটিংয়ে বক্তব্য দেন তা সহনশীলতার পর্যায়ে থাকে না। এগুলো শেখ হাসিনাও করেছিল।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করে প্রত্যেকে ঘরে ফিরে গেছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ২৪ এর আন্দোলনের চেতনা নিয়েও আমরা দেখছি ব্যবসা শুরু হয়েছে। তবে আমরা আহ্বান করব, ২৪ এর চেতনা নিয়ে আমরা আর কোনো ব্যবসা করব না।’
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘২৪ এর পর দুর্নীতি হবে এটি আমাদের প্রত্যাশা ছিল না। কিন্তু হচ্ছে। আন্দোলনে মাদরাসা শিক্ষার্থী-নারী ও প্রতিবন্ধীদের অবদান ছিল। কিন্তু তাদের বিন্দুমাত্র সম্মান জানানো হয় না। এসবের জন্য আমাদের মধ্যকার রাজনৈতিক মতানৈক্য তীব্রতর হচ্ছে। এর ফলে আওয়ামী লীগ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘যেসব দেশের অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ মেয়াদি হয়েছে তারা সফলতার মুখ দেখেনি। আমাদের দেশের পরিস্থিতি একই দিকে হাঁটছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা কাজ করতে পারেনি।’