বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর ৪ হাজার ৬৪১টি পুকুরের মধ্যে ২ হাজার ৩৯০টিই পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। এখন নতুন করে মোহরা সেলিমের পিতার বাড়ির জনগণের ব্যবহৃত পুকুরটিও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতদিন ভরাট চলছে, দেখার কেউ নাই। স্বাধীনতার পর থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে শত শত পাহাড় কেটে, নালা-নদী ভরাট করে চট্টগ্রামকে কংক্রিটের শহরে পরিণত করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অক্সিজেনের অভাবে চট্টগ্রামের মানুষসহ পশু-পাখি, জীবজন্তু বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়বে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা) ও চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) এর যৌথ উদ্যোগে নগরীর মোহরার শতবর্ষী পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান। বাপসার কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এ হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে ও সিডিএফ-এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপসার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও চেম্বার অব কমার্সের সদস্য মাহবুবুর রহমান রানা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
, আইএইচআরসি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক, পরিবেশ কর্মী জান্নাতুল নাঈয়ুম রিকু, মানবাধিকার কর্মী এস এম ফরিদ, বাপসার কেন্দ্রীয় সদস্য পটিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা জলি, সিডিএফ-এর সহসভাপতি এস এম ইমরান, নগর পরিবেশ সম্পাদক সাইফুল আলম খান।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ হাশেম রাজু বলেন, মাফিয়া লুটেরা গোষ্ঠী রাতের অন্ধকারে প্রতিনিয়ত পুকুর ভরাট করেই চলছে। তাই অনতিবিলম্বে পুকুর ভরাট বন্ধ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। তাছাড়া সারা চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী, হালদা নদীসহ শহরের অধিকাংশ পুকুর, জলাশয়, গাছপালা সুরক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সিডিএফ-এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমদার বলেন, পুকুর ভরাট, নদীনালা দখল দূষণের কারণে মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটিও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। তাই নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সমস্ত পরিবেশবাদী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘুষখোর প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করবে।