প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিয়া চৌধুরীর চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরো তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তারা পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালতের পেশকার মঈনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের অফার মূল্যে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট মামলার বাদী আলা উদ্দিন হোসেন বাজান কোম্পানির তিনটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। তিনটি মোটরসাইকেল অফার মূল্য মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা আসামিদের প্রতিষ্ঠান বরাবর ব্যাংক ডিপোজিট করেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রদান করতে ব্যর্থ হয় আসামিরা। এরপর মামলার বাদী আসামিদের কাছে টাকা চাইলে একটি চেক প্রদান করেন।
২০২২ সালের ২১ এপ্রিল চেকের টাকা নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে নগদায়ন হয়নি। পরবর্তী চেক ডিজঅনারের মামলা করতে গেলে নিদিষ্ট সময় পার হওয়ায় মামলা গ্রহণ করেনি আদালত। ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল আসামিদের কাছে টাকা চাইলে তারা বাদীকে হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৪ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালতে দণ্ডবিধি ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন আলা উদ্দিন হোসেন। মামলায় আসামি করা হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিয়া চৌধুরীকে। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা। মামলার শুরু থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত